Royal Bengal Tigress: রয়্যাল বেঙ্গল টাইগ্রেস 'সোহিনী' বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেল। তার বয়স হয়েছিল ২৩ বছর। 'সোহিনী' নামকরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Death of Royal Bengal Tigress: বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল বাঘিনী 'সোহিনী'। ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র উদ্বোধনে গিয়ে আদর করে নাম রেখেছিলেন 'সোহিনী'। তারপর থেকে এই নামেই ডাকা হত এই বাঘিনীকে। বুধবার মৃত্যুর হল সেই ‘সোহিনী’-র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২৩ বছর। সে থাকছিল ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখানেই মারা যায রয়্যাল বেঙ্গল টাইগ্রেসটি। কয়েক মাস আগে মৃত্যু হয় ‘সোহিনী’-র সঙ্গী ‘সোহান’-এর। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্গীর মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল বাঘিনী। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল সে। তাছাড়া বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যাতেও ভুগছিল এই বাঘিনী। তার চোখে ছানি পড়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘিনীটি। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার সকালে পশু চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল ঝড়খালি কেন্দ্রে গিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। এরপর বন দফতরের নিয়ম মেনে বাঘিনীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ঝড়খালিতে তৃতীয় মৃত্যু
ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরির পর এ নিয়ে তৃতীয়বার কোনও বাঘ বা বাঘিনীর মৃত্যু ঘটল। সুন্দরবনের বনি ক্যাম্পেও গত মাসে একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারেরও মৃত্যু হয়। এক মাসের মধ্যে ফের মৃত্যু হল আরও একটি বাঘিনীর। উল্লেখ্য, ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রথমে যে দু’টি বাঘকে এনে রাখা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল এই ‘সোহিনী’।
বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারও সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সুন্দরবনে লোকালয়ে বাঘের দেখা পাওয়া বিরল নয়। যে বাঘ বা বাঘিনীকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয় না, তাকে ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র রাখা হয়। সেখানে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে। বন্যপ্রাণ রক্ষায় সবসময় তৎপর সরকার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


