সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিজেপি এই ঘটনাটিকে ‘নবান্নের গালে সুপ্রিম কোর্টের থাপ্পড়’ বলে উল্লেখ করেছে। 

আসানসোলের কম্বল বিতরণ কাণ্ডে নয়ডা থেকে শনিবার বাংলার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই মামলায় আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পেয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু সোমবারই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বড় স্বস্তি মিলল তাঁর। আসানসোলের এই বিজেপি নেতার গ্রেফতারিতে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আইনজীবীদের মতে, শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরে আর জিতেন্দ্রকে হেফাজতে রাখতে পারবে না আসানসোল পুলিশ। এখন তাঁকে মুক্তি দিতেই হবে। বিজেপি এই ঘটনাটিকে ‘নবান্নের গালে সুপ্রিম কোর্টের থাপ্পড়’ বলে উল্লেখ করেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্য পুলিশকে দিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করিয়েছিল সরকার। এদিন সুপ্রিম কোর্ট যা জবাব দেওয়ার, তা দিয়ে দিয়েছে।

২০২২ সালে ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিব চর্চা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্রর স্ত্রী কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়াড়ির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি প্রতীকী হিসাবে কয়েকজনের হাতে কম্বল তুলে দিয়ে চলে যান। এরপরই শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি।

সেই কম্বল বিতরণ কাণ্ডে হুড়োহুড়ি এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলার চাপে একাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেই মামলায় আগেই সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করে রেখেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র। কিন্তু তার শুনানি হওয়ার আগেই গত শনিবার দিল্লির উপকণ্ঠে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি তিওয়াড়ির বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে কম্বল বিতরণ কাণ্ডে।

আরও পড়ুন-

মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত, তিহাড়ে জেলেই ঠাঁই হল অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের

এ কী কাণ্ড! সকাল সকাল রেল স্টেশনের সমস্ত টিভিতে চলছে পর্ন ভিডিও, পটনায় বিব্রত এবং হতবাক নিত্যযাত্রীরা

অমৃতপাল সিং কে, ‘ওয়ারিস দে পঞ্জাব’ কী চায়, ভারত সরকার কেন বিরোধিতা করছে, জেনে নিন খালিস্তানিদের প্রকৃত দাবি