'রাজ্যকেও আইন মানতে হবে', সুপ্রিম কোর্টে কী হল DA মামলার সওয়াল জবাব
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার শুনানি চলছে। এখনও ফয়সলা হল না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল ডিএ মামলা।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার শুনানি চলছে। এখনও ফয়সলা হল না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল ডিএ মামলা। সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্ট টানা শুনানির কথা বলেছিল। মামলা চলছে বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে। গতকালের মত এদিনও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নিশানা করে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। রাজ্যকে আইন মেনে চলতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন রাজ্যকে বলে, রাজ্য বলেছিল তারা রোপার ভিত্তিতে বকেয়া ডিএ দেওয়া হবে। রাজ্যকেও আইন মেনে চলতে হবে। যদিও রাজ্যের আইনজীবী স্পষ্ট করে জানিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র এক নয়।
রাজ্যের সওয়াল
রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেছে, রাজ্যেরস্মারকলিপিতে স্পষ্ট করে বলা রয়েছে যে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিএ বাড়ান হবে। রোপা আইনে বা আ রোপা রুল এও কোথাও বলা নেই যে আলাদা সূচক তৈরি করে ডিএ দিতে হবে। এক্ষেত্রে রাজ্যের আর্থিক নীতির উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার স্বাধীনতা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
বাজেটের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে
রাজ্যের আইনজীবী শ্য়াম দিওয়ান পাল্টা সওয়াল করেন। তিনি বলেন, সরকার ডিএ দেওয়ার আগে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাজেটের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আর রাজ্যের নীতি ভিন্ন হবে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যে সিদ্ধান্ত নেবে কিসের ভিত্তিতে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া হবে। কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে হবে- এটা বাধ্যতামূলক নয়।
মামলাকারীদের সওয়াল
মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী রউফ রহিমও অভিযোগ করেন, কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি ছাড়াই রাজ্য সরকার ইচ্ছেমতো ডিএ দিচ্ছে। তাছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।। তারসঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্যই বর্ধিতহারে ডিএ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, রাজ্য কখনই বলতে পারে না যে বেতন কমিশনের সুপারিশ মানবে না। এই বিষয়ে বিচারপতি মিশ্রের পর্যবেক্ষণ রাজ্য সরকার নিজেই বিভ্রান্তি তৈরির সুয়োগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
রাজ্য সরকার নিজেদের নিয়মই মানে না
আইনজীবী করুণা নন্দী সওয়াল করেন, এআইসিপিআই বিজ্ঞানসম্মত। লেবার ব্যুরো তা তৈরি করেছে। পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মীদের জন্য আলাদা করে কোনও সূচক নেই। রাজ্য সরকার নিজেদের নিয়মই মানে না।

