সংক্ষিপ্ত

তৃতীয়ার সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে তথ্য় প্রমাণ দিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

 

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বোনাস বিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যখন একের পর এক পুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত, তৃতীয়ার সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে তথ্য় প্রমাণ দিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ বোনাসেও রাজ্য সরকারে ধর্মীয় বিভাজন স্পষ্ট। মুসলিমদের বেশি টাকা বোনাস দেওয়া হয়েছে। আর হিন্দুদের দেওয়া হয়েছে অনেক কম টাকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (WBTIDCL) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (WBTC) জেটি এবং ঘাটগুলির জন্য "জলসাথী-এস" (cadre similar to the Civic Volunteers)নিযুক্ত করেছে। চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগ। এদের দায়িত্ব জেটি ও ঘাটগুলির যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা করা ও লক্ষ্য রাখা। জনস্টানগুলি সঠিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করছে কিনা, লাইফ জ্যাকেট রয়েছে কিনা, নৌযান ও জেটিতে প্রাথমিক চিকিৎসা, দুর্ঘটনা রিপোর্টি করা হচ্ছে কিনা এগুলি পর্যবেক্ষণ করা। গত ৬ বছর ধরেই এই ব্যবস্থা চলে আসছে।

 

 

এই বছর রাজ্য সরকার জলসাথীগের বোনাস দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বোনাসেও আর্থিক বৈষম্য করেছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ বোনাসের টাকায় ধর্মীয় বিভাজন করা হয়েছে। মুসলিমদের তাদের উৎসবের সময়ে ৬ হাজার টাকা করে বোনাস দেওয়া হয়েছিল। আর দুর্গা পুজোর বোনাসের সময় হিন্দুদের দেওয়া হচ্ছে ৩৬০০ টাকা করে। প্রায় অর্ধেক করে টাকা কম দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের।

শুভেন্দু অভিযোগ করেন, গতবছর নাগরিক স্বেচ্ছেসেবকদের মধ্যে এজাতীয় বৈষম্য তৈরি করা হয়েছিল। কারণ কলকাতা পুলিশের নিযুক্ত ব্যক্তিরা পশ্চিমপবঙ্গ পুলিশের দ্বারা নিযুক্ত ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি পরিমাণ বোনাস পেয়েছিলেন। শুভেন্দু আরও বলেছেন, 'কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে কর্মচারীদের মধ্যে পার্থক্য করা এবং একই শ্রেণীর কর্মচারীদের বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ প্রদান অনৈতিক, অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। রাজ্য সরকার এটা করতে পারে না। আমার দাবি যে হিন্দু কর্মচারীরাও তাদের মুসলিম সহকর্মীরা প্রাপ্ত বোনাসের সমান পরিমাণ পাবে।' সিএসটিসি, এনবিএসটিসি এবং এসবিএসটিসি-এর কর্মচারীদের জন্যও একই ধরনের আচরণ করা হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।