সংক্ষিপ্ত
রাজ্য সরকারের একের পর এক চক্রান্তে জর্জরিত হয়েই কি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী ? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে একাধিক ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে শুভেন্দু অভিকারীর সাক্ষাতের পর থেকেই একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেউ বলছেন যে হয়তো রাজ্য সরকারের একের পর এক চক্রান্তে জর্জরিত হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতেই হয়তো তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের। আবার কেউ কেউ বলেন যে তাঁর সভায় পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতেই মরিয়া তিনি তাই আদালতের রক্ষাকবচে ভরসা করতে না পেরে তিনি দ্বরস্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দরবারে। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না পেলেও সর্বভারতীয় স্তরে নিজের আর্জি পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে বঙ্গ সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। বিমানবন্দরে পা রেখেই সোজা তিনি চলে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেনে। সেখানে রাজ্য বিজেপির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারও। পরদিন দিল্লি ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লি আসতে বলেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছিল, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও আসতে বলা হয়েছিল। সোমবার দিল্লিতে এসে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন তাঁরা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী একাই জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও আগে জানা গিয়েছিল যে সুকান্ত মজুমদারও ওই বৈঠকগুলিতে থাকবেন।
অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী জানান, “আমার বিরুদ্ধে যে যে মামলা করা হয়েছে, তার বিবরণ অমিত শাহকে দিয়ে এসেছি। কীভাবে বাংলা আর তেলেঙ্গানায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। দেশের মানুষের জানা প্রয়োজন।” তাঁর দাবি, তিনি তথ্য দিয়ে শাহকে জানান রাজ্যের একশ্রেণির আমলা তাঁকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করছে। অমিত শাহ এতো মামলা দেখে বিস্ময়প্রকাশ করেন।সেই প্রসঙ্গেই বংগো রাজনীতিতে নিজের জায়গা বজায় রাখতেই কি তার এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন