সংক্ষিপ্ত
আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই অভিযোগকারিণী অরুণিমা পাল ও অভিযুক্ত ইভা থাপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
কামড়কাণ্ডের তদন্তে এবার আরও একধাপ এগোল পুলিশ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দু'পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা। নিয়োগের দাবিতে পথে নেমে পুলিশে হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তোলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল। প্রথমিকভাবে পুলিশের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিসি দক্ষিণ (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এগোয় তদন্তের কাজ। এই মামলার তদন্তের জন্যই আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই অভিযোগকারিণী অরুণিমা পাল ও অভিযুক্ত ইভা থাপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
নিয়োগ চেয়ে ফের পথে নেমেছিল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভে আরও একবার উত্তাল হয় তিল্লোত্তমা। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই বড় অভিযোগ। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরানোর নাম করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি এক আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে টানা হেঁচড়া চালানোর অভিযোগও ওঠে।
অরুণীমার দাবি তাঁকে ধাওয়া করে এসে হাতে কামড়ে দেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। জামিন পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন, 'পশুদের হামলা করে কামড়াতে দেখেছি, এইভাবে কোনও সভ্য মহিলাকে কামড়াতে এই প্রথম দেখলাম।' জামিন পেয়ে বুধবারের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা। তিনি আরও বলেন,'এটা আমাদের সার্বিক জয়, আমাদের নৈতিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই, আদালতের রায়ে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে। কিন্তু আমরা ন্যায্য আমাদের নিয়ো অনিবার্য।' পুলিশ কর্মীর আচরণ প্রসঙ্গে অরুণিমা বলেন, 'অঝোরে রক্ত ঝড়লেও কোনও চিকিৎসা হয়নি। একটি টিটেনাস ইঞ্জেকশন দেওয়া হলেও চিকিৎসা যে হয়েছে সে কাগজ পাইনি।'
৯ নভেম্বর নিয়োগের দাবিতে ফের একবার পথে নামেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। বেলা বাড়তেই কলকাতার ধর্মতলা, রবীন্দ্র সদন চত্বরে জমা হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। শুরু হয় চাক্কা জ্যাম। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের চাকার তলায় শুয়ে পড়েন বেশ কিছু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের মুখে শুধু একটাই কথা, 'হয় নিয়োগ, নাহলে মৃত্যু।' কার্য রণক্ষেত্রের রূপ নেয় বুধবার দুপুরের কলকাতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন, কলকাতা পুলিশর ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়া।
আরও পড়ুন -
কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে আরও লটারির হদিশ, জিতেছিলেন ৫০ লক্ষ টাকা
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য, ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে অখিল গিরি বললেন 'রাগের বশে এমন কথা'