সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করবেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এই বৈঠকেই টেটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

দু'মাসের মাথায়ই বেরোচ্ছে টেটের ফলাফল। শুক্রবারই সাংবাদিক বৈঠকে প্রাথমিকে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষে থেকে। একদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি, এই আবহেই ২০২২ সালের টেটের ফলাফল প্রকাশ করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করবেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এই বৈঠকেই টেটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। গত ১১ ডিসেম্বর আয়োজিত হয়েছিল ২০২২ সালের টেট পরীক্ষা। পরীক্ষার দু'মাসেরব মাথায় ফলাফল প্রকাশ ইতিহাসে এই প্রথম।

বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হয়েছে টেটের চূড়ান্ত উত্তরপত্র বা আনসার কি। এর পর শুক্রবারই টেটের ফলাফল ঘোষণা হবে বলে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই গত ১১ ডিসেম্বর আয়োজিত হয়েছিল ২০২২ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা (টেটে)। এই পরিস্থিতিতে টেটের আয়োজন পর্ষদের কাছে একপ্রকারের চ্যালেঞ্জ হইয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মোটের উপর সুষ্টু ভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল পরীক্ষা। এবার ফলপ্রকাশের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখাই এখন পর্ষদের মূল উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য প্রায় সাত লক্ষ পরীক্ষার্থী এই বছর পরীক্ষা দিয়েছে।

টেট পরীক্ষা ও ফলাফলের মাঝেও নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে একাধিক নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ১৮৯টি উত্তরপত্রের প্রতিলিপি এবং অ্যাডমিট কার্ড। যদিও পর্ষদের পক্ষে জানানো হয়েছে উত্তরপত্র সুরক্ষীতই রয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। বুধবার মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। তিনি তখন বিচারকের সামনে সওয়াল করেন, বাংলা আগে শিক্ষার উৎকর্ষকেন্দ্র ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে, তা খুনের সামিল। ইডির বক্তব্য, ২০১২ ও ২০১৪ সালের বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে বলে জেরার মুখে জানিয়েছেন কুন্তল ঘোষ। টাকার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের নির্দিষ্ট দুটি প্রশ্ন জানিয়ে দেওয়া হত। OMR শিটে সেই দুটি প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা কেবল ডট্ মার্ক দিতেন। অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরগুলিতে তাঁরা কোনও দাগ দেবেন না, এরকমই নির্দেশ দেওয়া থাকত। কেবল সংশ্লিষ্ট দুটি উত্তরের ক্ষেত্রে তাঁরা ডট মার্ক দেবেন। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা শুধু ওই দুটো প্রশ্নেই ডট মার্ক দিচ্ছেন, তাঁদেরকে পরবর্তীকালে চিহ্নিত করা হত। এরপর সেই ওএমআর শিটগুলোকে খুঁজে বার করা হত। এই চাকরিপ্রার্থীরাই সুপারিশ নিয়ে এসেছেন বলে বোঝা যেত। 

আরও পড়ুন -

মাত্র ২টি উত্তরে পেনের কালি, উত্তর দেখেই সুপারিশ হওয়া চাকরিপ্রার্থীর খাতা ধরে ফেলতেন কুন্তল ঘোষ

কুন্তলের মুখে বারবার শোনা যেত ‘কালীঘাটের কাকু’-র কথা, ইডি দফতরে মুখ খুললেন গোপাল দলপতি

'আমার নিজের ঘর', ত্রিপুরা সফরে গিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজোও দিলেন তিনি