সংক্ষিপ্ত

‘মুখ্যমন্ত্রী উত্তর না দিলে তিনি এই ঘটনায় জড়িত আছেন বলেই ধরে নেওয়া হবে,’ টুইট বার্তায় স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

কলকাতার বালিগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১.৪ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। সেই ব্যবসায়ীর পরিচয় প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তোলপাড়। রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর কয়লা পাচারের টাকা সাদা করার জন্য বেনামে একটি সম্পত্তি কিনেছেন মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে ‘জিট্টা ভাই’ নামে এক ব্যবসায়ী, গজরাজ গ্রুপের মালিক বিক্রম শিকারিয়া সেই মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করতেন, এই মর্মে বিবৃতি জারি করেছিল ইডি। সেই টাকারই একাংশ বুধবার উদ্ধার হয়েছে গজরাজ গ্রুপের দফতর থেকে। এর পরই মনজিৎ গ্রেওয়ালের সঙ্গে তৃণমূলের ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ দেখাতে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে টুইট করে জবাব চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


 

বিজেপি নেতাদের টুইট করা একের পর এক ছবিতে কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একেবারে কাছাকাছি, আবার কখনও তৃণমূলের প্রচারের মুখ্য সারিতে দেখা যাচ্ছে মনজিৎকে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর টুইট করা ২টি ছবির একটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পিছনে দেখা যাচ্ছে মনজিৎ গ্রেওয়ালকে।



 অপরটিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ওই ব্যবসায়ীকে। 



টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টা, যিনি ভবানীপুর উপ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের দায়িত্ব সামলেছেন, ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর নাম রয়েছে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কি বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাঁর বিরুদ্ধেও কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?’ শুভেন্দু এও লেখেন যে, মুখ্যমন্ত্রী উত্তর না দিলে তিনি এই ঘটনায় জড়িত আছেন বলেই ধরে নেওয়া হবে।


 

সালাসালর গেস্ট হাউস নামে একটি অতিথিশালা সম্প্রতি কিনে নেন মনজিৎ সিং। বুধবারই সেই সম্পত্তির রেজিস্ট্রি হয় আলিপুরে সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে। গেস্ট হাউসের দর মোট ১২ কোটি টাকা হলেও, খাতায়-কলমে মাত্র ৩ কোটি টাকা দেখানো হয়। বাকি ৯ কোটি টাকা নগদে দেওয়া হয়েছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। আর সেই টাকা গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম শিকারিয়ার অফিসে লেনদেন হয়েছে বলেই জানতে পারে ইডি। ইডি-র বিজ্ঞপ্তির শেষ লাইনে লেখা হয়েছে, মন্ত্রীর অবৈধ টাকা সামলাতেন এই বিক্রম।


 

রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি! শোনা যাচ্ছে কয়লা কাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিত সিং গেরেওয়াল। যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি। দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দি শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন?’

 

 

আরও পড়ুন-

কেউ ছুঁড়ছে হাত-পা, কেউ চুষছে বুড়ো আঙুল, দেখে নিন তুরস্ক-সিরিয়ার ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারপ্রাপ্ত শিশুদের ছবি
ত্রিপুরায় নিজেদের ইস্তেহার প্রকাশ করল বিজেপি, দেখে নিন একের পর এক চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতির তালিকা
২০০ কোটি টাকা না পেলেই অমিত শাহকে খুন? কলকাতা থেকে পাওয়া চিঠি নিয়ে প্রবল ধন্দে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা