সংক্ষিপ্ত

হাইকোর্টের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ১৮ নভেম্বর। যদিও তারই আগে নদিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের কাজে ফেরাচ্ছে পর্যদ। তাদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

 

হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশের কারণে হারানো চাকরি ফিরে পাওযার আলো দেখতে পাচ্ছে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক। কারণ ইতিমধ্যে নদিয়ায় যাদের চাকরি গিয়েছিল তাতে নতুন করে কাজে যোগ দেওয়া নির্দেশ দিতে নদিয়া জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ। তাতেই আশার আলো দেখতে পাচ্ছে বাকিরা।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনিভাবের অভিযোগ তুলে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন। সংশ্লিষ্টদের একটি ভুল প্রশ্নের জন্য এক নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়ে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অভিযোগ তোলা হয়েছে এরা টাকার বিনিময় চাকরি পেয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্টদের আইনজীবীদের দাহি এরা আবেদন করেছিল। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করেছিল সরকার। সেখান থেকেই তাঁরা এক নম্বর পেয়ে পাশ করেন। তিনি আরও দাবি করেছিলেন কোনও প্রশিক্ষকহীন শিক্ষককে চাকরি দেওয়া হয়নি।

হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন এরা। সেই রায়ে বলা হয়ে ২৬৮ জনকে ওই মামলায় যুক্ত করতে হবে। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা বৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিল। পরে তারা আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানায় রাজ্য সরকার তাদের চাকরিতে যোগদান করতে দিচ্ছে না। এই মামলার শুনানি আগামী ১৮ নভেম্বর। যদিও তার আগেই নদিয়ায় চাকরি বাতিল হওয়াদের পুনরায় কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ। ২৬৯ জন মামলা করলেও পরবর্তীকালে একজন চাকরি পেয়ে যায়।

অন্যদিকে এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে নিয়ে শিক্ষিকার পদ ছাড়লেন জলপাইগুড়ির অনন্যা মহাপাত্র। তিনি রবিবার নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। অভিযোগ এসএসসি প্যানেল মোয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরি পেয়েছেন ১৮৪ জন। সেই তালিয়ায় ৪৯ নম্বরে নাম ছিল অনন্যার। সেই কারণে এসএসসিতে তাঁর নিয়োগ বেআইনি। সেই কারণে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন।

আরও পড়ুনঃ

সিভিক ভলান্টিয়ারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠ লক্ষাধিক টাকা, এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের জালে দুষ্কৃতী

সাড়ে ৪ ঘণ্টার টানা জেরা প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে, মেয়ের বেআইনি নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন ইডির

গুরু নানক ভবনের জন্য ১ টাকার বিনিময় জমির প্রতিশ্রুতি মমতার, খেতে চাইলেন হালুয়াও

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পরেশ অধিকারীকে সোমবার টানা চার ঘণ্টা ধরে জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান প্রাক্তন মন্ত্রী। সূত্রের খবর তারপর থেকেই তাঁকে টানা জেরা করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটে নারাদ মুক্তি পান তিনি। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরেশ অধিকারী বলেন, তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি সিজ করেছিল ইডি। সেগুলি খতিয়ে দেখার জন্যই তাঁকে ডেকে পাঠান হয়েছিল। সূত্রের খবর আবারও তাঁকে ডাকা হতে পারে। সেই বিষয় ইডি পরবর্তীকালে নোটিশ দিয়ে জানাবে।