রোগী জানিয়েছেন, প্রস্রাব হচ্ছিল না , তাই মনে হয়েছিল সেফটিফিন দিয়ে খুঁচিয়ে দিলে হয়ত প্রস্রাব বের হবে ৷ তা করতে গিয়েই সেফটিপিন ঢুকে আটকে যায় পুরুষাঙ্গ দিয়ে মূত্রথলির ভিতরে ৷ 

প্রস্রাব হচ্ছিল না তাই পুরুষাঙ্গে সেফটিপিন ঢুকিয়ে মূত্রথলিতে খোঁচাতে গিয়ে আটকে গেল । দ্রুত হাসপাতালে আসতেই হল অস্ত্রোপচার। বড় বাঁচা বাঁচলেন রোগী। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে থাকলেও রোগীকে বাঁচিয়ে দিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক । চিকিৎসক বললেম, এমন ঘটনার কথা তিনি আগে শোনেন নি। প্রাণ ফিরে পেয়ে চিকিৎসককে কুর্নিশ জানালেন রোগী।

কয়েক দিন ধরে প্রস্রাব হচ্ছিল না রোগীর ৷ পুরুষাঙ্গে সেফটিপিন দিয়ে খোঁচাতে গিয়ে মূত্রথলিতে তা আটকে যায় ৷ অবশেষে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সার্জারি বিভাগের ডাক্তার সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের হল সেই সেফটিপিন।স্বস্তি পেলেন রোগী। ডাক্তারবাবু বললেন, 'বিরল অপারেশন যে তা বলা যাবে না, তবে এই ঘটনা দেখা যায় না ৷'

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়ি পাল থানার মণিদহ এলাকার বাসিন্দা এক পঞ্চাশ উর্ধ্ব ব্যক্তি কিছুদিন ধরেই পুরুষাঙ্গে ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। এই সমস্যা নিয়ে প্রথমে স্থানীয় দেপাড়া হাসপাতালে ডাক্তারকে দেখানোর পর তাঁকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে । ইমারজেন্সিতে দেখানোর পর ওই রোগীকে কিছু পরীক্ষা করতে বলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় ৷ বলা হয় এক্স-রে করতে ।

সেই এক্স-রে-র রিপোর্ট হাতে পেতেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকের। তাঁরা এক্স-রে পর্যবেক্ষণ করে দেখেন ওই রোগীর পুরুষাঙ্গের মধ্যস্থলের মূত্রথলিতে একটি পুরো সেফটিপিন আটকে আছে। এরপর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বুধবার সফল অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় সেফটিফিনটি। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই সেফটিপিন কীভাবে পুরুষাঙ্গের ভিতরে গেল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি চিকিৎসকদের।

রোগী জানিয়েছেন, প্রস্বাব হচ্ছিল না , তাই মনে হয়েছিল সেফটিফিন দিয়ে খুঁচিয়ে দিলে হয়ত প্রস্রাব বের হবে ৷ তা করতে গিয়েই সেফটিপিন ঢুকে আটকে যায় পুরুষাঙ্গ দিয়ে মূত্রথলির ভিতরে ৷এই রোগীর বিষয়ে সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এক্স-রে করতে গিয়ে ধরা পড়ে পুরুষাঙ্গের মুখের কাছে নেই সেফটিপিনটি তা মূত্রথলিতে চলে গিয়েছে। এরপর আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবং অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।