সংক্ষিপ্ত
দশ মাস আগে স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মেয়ে সন্তান জন্মের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগেই থাকত।
কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকে বেড়েছিল স্বামীর অত্যাচার। চরম সীমায় পৌঁছাতে সদ্যজাত মেয়ে-কে নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। দাম্পত্য কলহের কারণে মহিলা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন। দুই দিন আগে গ্রামের মধ্যস্থতায় মিটমাট করে স্বামীর কাছে ফিরে যায়। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। ১০ মাস বয়সী মেয়েকে হত্যার অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। দুই বছর আগে সাদিকুল শেখ ও তাজমিনা খাতুনের প্রেমের বিয়ে হয়। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মেয়ে সন্তান জন্মের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগেই থাকত। পুলিশ জানায়, সাদিকুল শ্রমিকের কাজ করে। দশ মাস আগে স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ঝগড়ার পর তাজমিনা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। শুক্রবার মেয়েকে স্বামীর কাছে রেখে স্নান করতে যান তিনি।
স্নান সেরে ফিরে এসে মেয়েকে না দেখে কাঁদতে থাকে। স্বামীর কথায় সন্দেহ হয় তার। কিছুক্ষণ পর বাড়ির পাশে একজন নয়ানজুলিতে কন্যা সন্তানের মরদেহ ভাসতে দেখেন কয়েকজন প্রতিবেশী। সবাই বাচ্চাটির বাবাকে প্রশ্ন করে। তার বক্তব্যে ছিল অসঙ্গতি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর মহিলার শ্বশুর তাঁর নাতিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মৃত সন্তানের বাবাকে। মহিলার বাবা আব্দুর শেখ বলেন, "আমার জামাই আমার নাতনিকে মেরে জলে ফেলে দিয়েছে। মেয়ে হয়েছে এই ক্ষোভে মেয়েটিকে হত্যা করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করছি।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত তার অপরাধ স্বীকার করেছে। কান্দি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন, "মৃত বাচ্চার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ অনেক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।"