সংক্ষিপ্ত
বাঁকুড়ায় এদিন এসে পৌঁছয় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফায় প্রত্যেক জেলার জন্য এক কোম্পানি হিসেবে মোট ২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘন্টা বেজে গিয়েছে আগেই। সাঙ্গ হয়েছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পালা। এরই মাঝে ঘটে গিয়েছে একাধিক হিংসার ঘটনা। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্ব ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি, রক্তপাত, বোমাবাজি, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সেই দাবি মেনে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
তবে প্রথম দফায় ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা জানানো হয়েছে। তবে এরপরেই বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পেতে চিঠি দেয় কমিশন। বাঁকুড়ায় এদিন এসে পৌঁছয় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফায় প্রত্যেক জেলার জন্য এক কোম্পানি হিসেবে মোট ২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন । ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ১৫ জুনের সেই নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী-বিরোধিতার আবেদন। আদালতের চাপের মুখে অবশেষে আরও ৮০০ কোম্পানি চাইতে বাধ্য হল কমিশন।
এরপরেই হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যে অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে আনতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় '২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে কমিশনকে। একাধিক দফায় হয়েছিল ২০১৩-র ভোট, এবার তো একদফায় ভোট।'
এদিকে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ৬০ কোম্পানি। ২০ কোম্পানি আইটিবিপি, ২৫ কোম্পানি এসএসবি , ২০ কোম্পানি আরপিএফ আসছে বাংলায়। আর ২০ কোম্পানি আরপিএফ, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স মিলিয়ে থাকবে মোট ২০০ কোম্পানি। বাকি ১২টি রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে ১১৫ কোম্পানি বলে খবর।