সংক্ষিপ্ত

স্কুলের প্রধান শিক্ষকই পিওন! ২১ বছর হয়নি কোনও শিক্ষক নিয়োগ, চরম দুরবস্থা মালদার এই স্কুলে

স্কুলে পরের পর ক্লাস নিচ্ছে পিওন! মোট চারটে শ্রেণী স্কুলে। পঞ্চম থেকে অষ্টম। মোট ৮১ জন পড়ুয়া। কিন্তু শিক্ষক মোটে এক জন। এই শ্রেণী থেকে ওই শ্রেণী ছুট চলেছেন তিনি আবার দৌড়ে বেড়াচ্ছেন মিড ডে মিলের ঘরেও।

আবার মাঝে মধ্যে ছাত্র পড়াচ্ছেন অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২ বছর ধরে এমনই অবস্থা চলছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে ।

এভাবে চলতে থাকলে স্কুলটি অবশ্যই বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারণা স্থানীয়দের। ২০০১ সালে চালু হয় এই স্কুল। তখন মোট ৬ জন শিক্ষক ছিল। ২০০৩ সালে সরকারের অনুমোদনের পরে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। পরে আরও ৬ জন শিক্ষক স্কুলে যোগ দেন। তারপরে আর এক জনও শিক্ক নিয়োগ করা হয়নি। ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন এক শিক্ষক ও বাকিরা অবসর নিয়ছেন। ২০২২ সাল থেকে একজনই শিক্ষক রয়েছে এই স্কুলে। নেই কোনও গ্রুপ ডি কর্মীও তাই প্রধান শিক্ষককেই পিওনের কাজ করতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহানুল হক বলেছেন, "আমাকে পড়ানোর পাশাপাশি সমস্ত কাজ করতে হয়। কেন্দ্রটিতে খাতায় কলমে ৮১ জন পড়ুয়া থাকলেও নিয়মিত আসে ৩০-৩৫ জন। শিক্ষক চেয়ে ব্লক, জেলা ও রাজ্যে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।"