বাবা মা ফিরতেই গোটা ঘটনা জানায় মেয়ে। একথা জানাজানি হয় এলাকায়। এরপর নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয়রা যৌথভাবে একজোট হয়ে চিকিৎসক ও তার সহযোগীকে চেম্বার থেকে বের করে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। চেম্বারের বাইরে বের করে এনে উত্তম মধ্যম দেওয়া হল অভিযুক্ত চিকিৎসকে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ঘটনার কথা শুনে ছি ছি করছে স্থানীয়রা।দাঁতের চিকিৎসা করাতে এসে চিকিৎসকের লালসার শিকার হল এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরির জেলা পরিষদ মার্কেটে। অভিযুক্ত দন্ত চিকিৎসককে আটক করেছে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় চেম্বারে দন্ত চিকিৎসক অনেকদিন ধরেই রোগী দেখেন। ওই চিকিৎসকের কাছে মেয়ের দাঁতের সমস্যা থাকায় নিয়ে আসেন বাবা মা। জানা যায়, দেরী হবে বলে নাবালিকা মেয়েকে চেম্বারে বসিয়ে তার বাবা মা গিয়েছিলেন অন্য এক চিকিৎসকের কাছে। অভিযোগ, এই সময় ওই দন্ত চিকিৎসক তার সহকারীকে অন্য একটি কাজে পাঠিয়ে দেন। তারপরই ওই নাবালিকাকে নিজের চেম্বারে ডেকে রোগী দেখার অজুহাতে খারাপ উদ্দেশ্যে নিয়ে অসভ্যতা এবং শ্লীলতাহানি করেন। বাবা মা ফিরতেই গোটা ঘটনা জানায় মেয়ে। একথা জানাজানি হয় এলাকায়। এরপর নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয়রা যৌথভাবে একজোট হয়ে চিকিৎসক ও তার সহযোগীকে চেম্বার থেকে বের করে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নাকাশী পাড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাকাশিপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মেয়েটির বাবার অভিযোগ, মেয়ের দাঁতের চিকিৎসা করাতে দিয়ে গিয়েছিলাম এক্স রে রিপোর্ট করাতে। কিছু সময় পর আসতেই চিকিৎসক জানান, দুটো দাঁতে পোকা লেগেছে সেটার চিকিৎসা করতে হবে। শুনে ফের চলে যাওয়ার সময় মেয়ে ছুটে এসে বলে এখানে আর নিয়ে আসবে না। ঘটনা জানতে চাইলে মেয়ে বলে মাকে বলব। মাকে সব বলতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা ধরে ওই চিকিৎসককে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।