সংক্ষিপ্ত
ভোটের ফলাফল সামনে আসতেও দেখা যায় সেই কেশপুর বিধানসভায় এক লক্ষ ভোটে এগিয়ে ছিলেন দেব। মিটেছে ভোটের পর্ব। হিরণকে পরাজিত করে ফের বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন দেব। এবার বিজয় উৎসবের পালা। সেই কাজের পুরস্কার পেলেন তৃণমূল কর্মীরা।
শুক্রবার রাতে কেশপুর বিধানসভার জগন্নাথপুরে তৃণমূলের বিজয় উৎসব হয়েছে। ভোটের আগে জোর কদমে প্রচার চালালেও গত ২৫ মে ঘাটাল লোকসভায় ভোটের দিন কেশপুরের নানা প্রান্তে দফায় দফায় আটকেছিলেন হিরণ। তৃণমূলের অবরোধের সামনে কার্যত চুপ করে বসে থাকতে হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীকে। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল।
ভোটের ফলাফল সামনে আসতেও দেখা যায় সেই কেশপুর বিধানসভায় এক লক্ষ ভোটে এগিয়ে ছিলেন দেব। মিটেছে ভোটের পর্ব। হিরণকে পরাজিত করে ফের বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন দেব। এবার বিজয় উৎসবের পালা। সেই কাজের পুরস্কার পেলেন তৃণমূল কর্মীরা। মঞ্চে ডেকে একে একে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হল, যারা লোকসভা ভোটের দিনে কেশপুরে বিজেপি প্রার্থী হিরণের পথে আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ভোটের দিন জগন্নাথপুরের খেড়ুয়াবালিতেও দীর্ঘক্ষণ বিজেপি প্রার্থীকে আটকে রেখে অবরোধ করেন তৃণমূলের সমর্থকেরা।
ভোটের দিন জায়গায় জায়গায় বাধা পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হিরণ। বলেছিলেন, ”কেশপুরে নির্বাচনের নামে পাগলু ড্যান্স করেছে তৃণমূলের বাহিনী।” তবে এদিনের বিজয় উৎসবে শুধুই পুরস্কার বিতরণ বা ভাষণ নয়। এদিন জম্পেশ নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূল তরফে। ছিল ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ। গরমের চোটে মাংস বাদ পড়লেও দু’পিস করে মাছ দিয়ে ভরপেট খেয়েছেন সকলে।
সে দিনের সেই বিক্ষোভে যারা যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, শুক্রবার বিজয় উৎসবের মঞ্চে তাদের ডেকে নেওয়া হল। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে পুষ্পস্তবক দিয়ে, উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হল প্রকাশ্য মঞ্চে। অনুষ্ঠান শেষে তাদের বলতে শোনা গেল, ‘সংবর্ধিত হয়ে দারুন লাগছে।’
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।