সংক্ষিপ্ত

১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে সন্দেশখালির ৫২ কিলোমিটার আগে ভোজেরহাটে আটকানো হল ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে। সেখানেই রাস্তার ধারে ধর্নায় বসেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। বেআইনিভাবে আটকানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

সন্দেশখালি ইস্যুতে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। তবে রবিবার যা ঘটল সন্দেশখালিতে, তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন অনেকেই। এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে সন্দেশখালির ৫২ কিলোমিটার আগে ভোজেরহাটে আটকানো হল ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে। সেখানেই রাস্তার ধারে ধর্নায় বসেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। বেআইনিভাবে আটকানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

ছয় সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এল নরসিমা রেড্ডি। সন্দেশখালীতে ১৪৪ ধারা কার্যকরের কথা বলে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পুলিশ ভোজেরহাট এলাকায় দলটিকে থামায় এবং হট্টগোলের পর সেখান থেকে তাদের আটক করে।

‘পুলিশ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে’

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলটি সন্দেশখালিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে দেখা করতে চায়। কিন্তু সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ দলটিকে আটকে দেয়। এর প্রতিবাদে সেখানে ধর্নায় বসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। হট্টগোলের পর দলটির সবাইকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ তাদের বাধা দিলে দলের সদস্য চারু ওয়ালী খান্না বলেন, আমরা সন্দেশখালি যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বাধা দিয়েছে এবং ঝামেলা তৈরি করছে। পুলিশ আমাদের নির্যাতিতদের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না।

প্রাক্তন বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি ছাড়াও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে প্রাক্তন আইপিএস রাজপাল সিং, প্রাক্তন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য চারু ওয়ালি খান্না, আইনজীবী ওপি ব্যাস এবং ভাবনা বাজাজ সহ সিনিয়র সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক রয়েছেন।

এদিকে, শনিবার সন্দেশখালি এলাকা পরিদর্শনে গেলে মহিলাবাহিনীর ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। ৫১ দিন পার হয়ে গেলেও গ্রেফতার তো দূরের কথা, খোঁজও মেলেনি শেখ শাহাজাহানের। সে কোথায়! প্রশ্ন তোলেন এলাকার মহিলারা।

এক মহিলা বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেন, 'কবে গ্রেফতার হবে? তারিখ বলুন? লিখে দিন শাহজাহান শেখ এই তারিখে গ্রেফতার হবে।' এর পরেই তীব্র কটাক্ষ, 'শাহজাহান শেখকে ধরতে পারেন না, আর মহিলাদের বলছেন চুপ থাকুন? এই নিন শাঁখা নিন, শাড়ি নিন। ঘোমটা দিয়ে বসে থাকুন।' এমন ভাশাতেই এদিন তীব্র কটাক্ষ ধেয়ে আসে পুলিশের দিকে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।