দিঘায় ভেসে আসা জগন্নাথের পুজো হচ্ছে এভাবেই! কিন্তু এই মূর্তি ভেসে এল কীভাবে? বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
দিঘায় ভেসে আসা জগন্নাথ দেবের মূর্তি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। ভোগীব্রহ্মপুর গ্রামের বাসিন্দা অবনী সামন্ত মূর্তিটি তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। এই অঞ্চলে নির্মাণ হচ্ছে দীঘার জগন্নাথ মন্দির।
অবনী সামন্তর বাড়িতেই বর্তমানে জগন্নাথ দেবকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই খানেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোপাঠ। তারপর থেকেই বাড়িতে উপচে পড়ছে প্রতিবেশীদের কোলাহল।
অনেকের দাবি, নতুন জগন্নাথ মন্দিরে কোথাও মূর্তিটি ঠাঁই পাক। এই প্রসঙ্গে অবনী সামন্ত জানিয়েছেন, " কোথা থেকে তিনি এসেছেন জানি না। জানতে চাই না। শুধু চাই ভগবান আপাতত আমার বাড়িতেই থাকুন।"
রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের কাছে একটি ঘাট তৈরি হচ্ছে। জগন্নাথ মন্দিরের সেই পুরানো মন্দিরের কাছে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। রবিবার সেই কাজই করেছিলেন মিস্ত্রিরা।
সমুদ্রপাড়ের বোল্ডারও সরাচ্ছিলেম কয়েকজন। তাঁদেরই একজনের নাম মঙ্গল রানা। তিনিই প্রথম দেখতে পান সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে আসছে একটা মূর্তি। এরপরেই ছুটে আসেন আশেপাশের লোকেরাও। এরপরেই সবাই মিলে মূর্তিটি তোলেন।
মূর্তিটি সাক্ষাৎ ভগবানের । কাঠের একটা হাত অবশ্য ভাঙা। মুহূর্তে খবর পড়ছে চারপাশে। এ প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, “ এর আগেও দীঘায় জগন্নাথের মূর্তি ভেসে এসেছে কারণ পুরীর পুরানো মূর্তি জলে ভাসিয়ে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাই এই মূর্তি অলৌকিক ভাবে এসেছে তা বলা যাবে না” । অন্যদিকে আরও একজনের বক্তব্য," ঠাকুরের গায়ে না আছে শ্যাওলা না জলের দাগ, তাই এটা নিহাতই ছেলেখেলা"।


