সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার থেকেই ঝড়বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যজুড়ে। তেমনই পূর্বভাস হাওয়া অফিসের। তবে উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জন্য দুই ধরনের সতর্কতা জাপরি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস। থবে কালবৈশাখির আগে রাজ্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে। আগামী সাত দিনের সঙ্গে বাংলায় শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা থাকবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিস বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের মধ্যে একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এই অক্ষরেখার কারণে রাজ্যে জলীয়বাষ্পের সঞ্চার হবে। তাতেই ঝড়বৃ্ষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে পাঁচ জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সবকটির জেলার জন্যই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দায়িছে আলিপুর হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। দক্ষিণবঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছে না হাওয়া অফিস।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তবে বুধবার থেকে হাওয়ার বেগ বাড়বে। বুধবার থেরকে শুক্রবার পর্যন্ত ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শনিবার থেকে সোমবার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওযার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার জন্যই হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাোয়া অফিস।
দীর্ঘ দিনই রাজ্যে তেমনভাবে বৃষ্টি হয়নি। শীতকালে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় জলের সংকটে কিছুটা হলেও স্তব্ধ হয়ে চাষাবাদের কাজ। এই অবস্থায় রাজ্যের মানুষ বৃষ্টির জন্য হাপিত্তেষ করে বসে রয়েছে। ফাল্গুন মাসের শেষ থেকেই কালবৈশাখী শুরু হয়ে যায়। বৈশাখ পর্যন্ত চলে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত কালবৈশাখী হয়নি তেমনভাবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। শীতকালে পাহাড়ে বৃষ্টি হলেও সমতলে তেমন বৃষ্টি হয়নি। তাই বৃষ্টির জন্য প্রত্যাশা রয়েছে এই রাজ্যের মানুষের।