সংক্ষিপ্ত

এবার ২১ জুলাই জঙ্গলমহল-সহ উত্তরের জেলাগুলিতেও বিশাল সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

২১ জুলাই নিয়ে বড় পরিকল্পনা তৃণমূলের। পঞ্চায়েতের পর এখন ঘাসফুল শিবিরের পাখির চোখ লোকসভা। ২৪-এর নির্বাচনের আগে মানুষের কাছে পৌঁছনর জন্য ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে হাতিয়ার করে এগোচ্ছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই এই বছর বৃহত্তর রাজনৈতিক সমাবেশ করতে উদ্যোগী মমতার দল। ধর্মতলায় কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে জমায়েতের প্রস্তুতি। শুধু তাই নয় এবার ২১ জুলাই জঙ্গলমহল-সহ উত্তরের জেলাগুলিতেও বিশাল সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হতেই ২১ জুলাইয়ের প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলররা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ-সহ একাধিক ইস্যুতে সুর চড়াবে তৃণমূল নেতৃত্ব। ১৯ তারিখ আসতে শুরু করবেন দলীয় কর্মীরা। শুধু তাই নয় এবারে চমক থাকছে বক্তা তালিকাতেও। সূত্রের খবর এবার নাম থাকতে পারে বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, প্রকাশ চিক বরাইকদের।

প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্নের সভাগৃহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'আমি কী দোষ করেছি? আমার অপরাধটা কী? দোষ করলে শাস্তি দিন। কিন্তু এত কুৎসা! এত মিথ্যে! অপরাধ করলে মা-মাটি মানুষকে শাস্তি দিন, মেনে নেব। কিন্তু মিথ্যে সহ্য করব না। যখন বিরোধী ছিলাম তখনও মেরে মেরে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এখন ক্ষমতায়, এখনও সেই অপমান।' এই প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনা করে মমতা বলেছেন,'যবে থেকে বিজেপি এই বিদ্বেষ মূলক আচঢ়ণ শুরু করেছে, কথায় কথায় আক্রমণ। ভায়লেন্স ভায়লেন্স করে গোটা দেশে আমাদের বদনাম করে চলেছে, বাংলার বদনাম করে চলেছে। আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আনা হয়েছে। কথায় কথায় এজেন্সি। এভাবে দেশ চলে না। তাও বলব, আপনাদের কুৎসা আমাদের আরও শক্তিশালি করে। শুধু কয়েকটা প্রাণ চলে গেল, সেটা খুবই দুঃখজনক।'