সংক্ষিপ্ত

কীর্তি আজাদ ও ইউসুফ পাঠানের নাম ছিল বড় চমক। অন্যদিকে প্রত্যাশিতভাবেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মিমি ও নুসরত।

 

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় বড় চমক হল রচনা বন্দ্যোপাধ্যা আর ইউসুফ পাঠানের নাম। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদি নম্বর 1 এর অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর থেকেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে পারেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। যদিও এই বিষয়ে পুরোপুরি চুপ ছিলেন রচনা। অন্যদিকে মুখ খোলেনি তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে কীর্তি আজাদ ও ইউসুফ পাঠানের নাম ছিল বড় চমক। অন্যদিকে প্রত্যাশিতভাবেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মিমি ও নুসরত। তবে অর্জুন সিংও নেই তালিকায়। অন্যদিকে যাদবপুরের মত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে।

প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের চমকঃ

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে হুগলি কেন্দ্র থেকে। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। একটা সময় দুজনেকে একই সঙ্গে দেখা গিয়েছিল পর্দায়। এবার ভোটের ময়দানে একে অপরকে টক্কর দেবেন।

অন্যদিকে অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট দিয়েছে যাবদপুরের মত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রে একটা সময় প্রার্থী ছিলেন মমতা নিজে। তিনি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে এই কেন্দ্রেই হারিয়ে প্রথম লোকসভায় গিয়েছিলেন। যদিও তারপর থেকে টানা পাঁচবার তিনি দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে সংসদে যান। কিন্তু একটা সময় যাদবপুর কেন্দ্র সিপিএমএর গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই এটি তৃণমূলের দখলে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই মিমি হারিয়েছিলেন সিপিএমএর আইনজীবী প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। যদিও এবার সায়নী কী করেন সেটাই দেখার।

অন্যদিকে আগেই নিজের সাংসদ পদ-সহ একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। তিনি রাজনীতে ছাড়ছেন বলেও টলিউডে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। যদিও ২০১৯ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। তারপর তাঁকে একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে আর তৃণমূলের কর্মসূচিতে দেখা যায় না। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরেও তা গৃহীত হয়েছে বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর।

অন্যদিকে তৃণমূলের অপর তারকা সাংসদ নুসরত জাহানকে নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর বিয়ে থেকে শুরু করে প্রেম- যা একাধিকবার অস্বস্তিতে ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে। তবে সন্দেশখালি ইস্যু নুসরতের রাজনৈতিক জীবনে শেষ পেরেক ঠুঁকে দিয়েছে। কারণ সন্দেশখালির মহিলারা একটা সময় সাংসদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। শাহজাহান ইস্যুতে নুসরত পুরোপুরি চুপ ছিলেন। যাকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। এবার তাঁরই কেন্দ্র অর্থাৎ বসিরহাটে প্রার্থী করা হয়েছে হাজি নুরুল ইসলাম। এভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছে তৃণমূল।

অর্জুন সিং- গত লোকসভা নির্বাচনের আগেই টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অর্জুন সিং। জয়ীও হন তিনি। কিন্তু তারপরই দলবদল করেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলে রয়েছে। কিন্তু এবারও অর্জুন সিংকে প্রার্থী করল না তৃণমূল। তাঁর পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। অর্জুন সিং এবার কি করে সেটাই এখন দেখার।