Anubrata Mondal: বীরভূমে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কার্যত পুলিশকে শাসন করে চলেছেন। তিনি বারবার প্রকাশ্যে পুলিশকে হুমকি, ধমক দিয়েছেন। তারপরেও এই শাসক নেতার বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ।
KNOW
TMC Leader Anubrata Mondal: ফের অনুব্রত মণ্ডলের নিশানায় পুলিশ। বোলপুর থানার আইসি-কে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, স্ত্রী-মা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার ঘটনা এখনও মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। মে মাসের সেই ঘটনার পর অগাস্টের শুরুতেই এবার বীরভূমের পুলিশ সুপারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শাসক দলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। বোলপুর থানার আইসি-কে গালিগালাজ করার পর দলে কেষ্টর পদোন্নতি হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বীরভূম সফরে যান তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে অনুগত কেষ্টর সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন দলনেত্রী। এরপরেই দলনেত্রীর নির্দেশে অনুব্রতকে ফের বীরভূমে দলের কোর কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। স্বয়ং পুলিশমন্ত্রীর প্রশ্রয় পাওয়ার কারণেই হয়তো এবার আইসি-কে ছেড়ে পুলিশ সুপারকে আক্রমণ করলেন কেষ্ট।
কেন অনুব্রতর নিশানায় পুলিশ সুপার?
শনিবার সিউড়িতে বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মমতার ছবিতে কালি লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা এবং সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে বচসা এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। জেলা সভাপতি-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের চ্যাংদোলা করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় বিজেপি জেলা সভাপতিকে। পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপি-র মোট ২৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই পুলিশ সুপার আমনদীপকে আক্রমণ করেছেন অনুব্রত। তিনি বলেছেন, 'আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে কালি লাগাচ্ছে। সেখান থেকে এসপি অফিস হচ্ছে কুড়ি হাত দূরে। উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন? বীরভূম জেলায় এই ধরনের সংস্কৃতি আগে ছিল না। আমি মনে করি, এই পুলিশ সুপার আসার পর থেকেই এমন সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। আমরা আগে বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা কোনওদিন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা কারও ছবিতে কালি লাগাইনি। আমরা বিজেপি-র কোনও ছবিতে কালি লাগাই না। এটা ভদ্রতা নয়। এই ধরনের পুলিশ সুপার থাকলে এই ধরনের নোংরামিই হবে।'
মারাত্মক অভিযোগ অনুব্রতর
পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন কেষ্ট। তিনি বলেছেন, ‘আগে অন্য পুলিশ সুপার থাকতে এ ধরনের নোংরামি, খুনখারাপি হত না। এই পুলিশ সুপার আসার পরে নাবালিকা উধাও থেকে সব কিছু হচ্ছে। দু’জন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছে, তিন জন নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে।’ এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সুপারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


