সংক্ষিপ্ত
দেরি করে স্কুলে আসার কারণে শোকজ করা হয় ওই শিক্ষককে। জানা যায় ফরাক্কা সার্কেলের তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি উক্ত শিক্ষক।
সময়মত স্কুলে আসেননি শিক্ষক। আবার সেইদিনই স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন স্কুল ইন্সপেক্টর। দেরি করে স্কুলে আসার কারণে শোকজ করা হয় ওই শিক্ষককে। জানা যায় ফরাক্কা সার্কেলের তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি উক্ত শিক্ষক। দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে এসআইকে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে লেখেন,'আপনি পাওয়ার দেখাচ্ছেন? ভুলে যাচ্ছেন আমি রুলিং পার্টির সভাপতি।' শিক্ষক নেতার এহেন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তরজা। রাজনৈতিক ক্ষমতার জোড়ে শিক্ষকের আপত্তিজনক মন্তব্যকে ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক স্তরেও। শিক্ষকের বাচনভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলেই। বিরোধীদের বক্তব্য এ রাজ্যে শিক্ষার যা হাল, সেক্ষেত্রে শাসকদল ঘেঁষা শিক্ষক যে এভাবেই কথা বলবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফরাক্কার ৩৫ নম্বর শঙ্করপুর প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক মিঠুন দাস। সেই স্কুলেরই চারজন শিক্ষককে শোকজ করেছেন, ফরাক্কা সার্কেলের স্কুল ইন্সপেক্টর দীপান্বিতা কুণ্ডু। অভিযোগ সময় স্কুলে আসেন না তাঁরা। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার উন্নতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এসআই। এরপরই ফুঁসে ওঠেন স্কুলের শিক্ষক তথা ফরাক্কা সার্কেলের তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি। হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিজনক স্বরে কথাও বলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মিঠুন দাসের বক্তব্য, ১ নভেম্বর থেকে স্কুল ড্রেস দেওয়ার কথা ছিল পড়ুয়াদের। সেদিনই স্কুলে এসআই এসেছিলেন। মিঠুন দাসের দাবি সেদিনই তাঁর স্কুলে ঢুকতে দেরি হয়। তাঁর দাবি, তিনি রোজই ১১টার আগেই স্কুলে আসে। তিনি যেহেতু সভাপতি, তাই রাস্তায় অনেক শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে কথাও বলতে হয়। সেইদিন তাঁর ১১টা ২৫ বাজে স্কুলে ঢুকতে। এই কারণেই তাঁকে শোকজ করা হয়। হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'আমি শুধু বললাম, সব কথা বলার পরও আপনি এভাবে কেন শোকজ করলেন? আমিও তো শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি। আমারও প্রেস্টিজ আছে।'