সংক্ষিপ্ত
বীরভূমে গিয়ে কাজল শেখের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, কাজলের সঙ্গে তিনি পুরো বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।
অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের রাজনীতিতে সশরীরে উপস্থিত না থেকেও তিনি আছেন। রবিবার তেমনই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ কাজল শেখ। এদিন বীরভূম গিয়ে কাজল শেখের সেই অভিযোগেরই জবাব দিলেন শতাব্দী। তিনি জানিয়েছেন এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু কাজল শেখের সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটিতে স্থান পেয়েছেন শতাব্দী রায় আর কাজল শেখ। সেই কোর কমিটিরই বৈঠক হয় না বলেই অভিযোগ ছিল কাজল শেখের।
এদিন শতীব্দী রায় বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডল আমাকে ফোন করেনি। আমি বিকাশবাবু নয়। বিকাশদা আমাকে বলেনি। কাজল শেখ বলেছে। এই তিনটে চরিত্রের মধ্যে আমি নেই। ফলে আমি বলতে পারব না কে কাকে ফোন করেছিল। আদৌ ফোন করেছিল কিনা। তবে আমি কাজলের সঙ্গে কথা বলব। কেন মান অভিমান হচ্ছে জানার চেষ্টা করব'।
কাজল শেখের অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা সফরে এসে সাত সদস্যের একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সপ্তাহে একদিন করে জেলার সাংগঠনিক দিক থেকে কোর কমিটি বৈঠক করার নির্দেশ দিয়ে যান দলনেত্রী। কাজলের দাবি, কোর কমিটি কোন বৈঠক করছে না। এমনকি কাজলের কোর কমিটিতে জায়গা হওয়াটা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অন্যান্য কোর কমিটির সদস্যরা মেনে নিতে পারছেন না। পাশাপাশি কাজলের আরো দাবি, অনুব্রত জেল থেকে বসে যা নির্দেশ দিচ্ছেন সেটাই কার্যকর করছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কোর কমিটির সদস্যরা। এমনটাই তাকে জানিয়েছেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক তথা কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী বলছেন।
বিস্ফোরক কাজল শেখ। কাজল শেখ বলেন, 'আমি সামনের চেয়ারে বসার জন্য দল করছি না। আমার বিধায়ক হওয়ার বাসনা নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে সামনে রেখে নেশায় দল করছি। মুখ্যমন্ত্রী বলে গিয়েছিলেন সপ্তাহে একদিন করে কোর কমিটির বৈঠক করতে হবে। কিন্তু এখন সেই বৈঠক হয়নি। তাছাড়া আমি জেলা কমিটির বৈঠকে বলতে চেয়েছিলাম কোর কমিটির সদস্যরা সপ্তাহে একদিন করে জেলা পার্টি অফিসে সময় দিক। কিন্তু সেই কথা গ্রাহ্য হয়নি।' অন্যদিকে বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, 'কাজল কি বলেছে আমি জানি না। তবে অভিযোগ ঠিক নয়'।
সোমবার বীরভূমের মাড়গ্রামে এসে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের মন্তব্যের এভাবেই জবাব দিলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়। প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি মাড়্গ্রামের হাসপাতাল পাড়ায় বোমায় মৃত্যু হয় নিউটন শেখ ও লাল্টু শেখ নামে দুই তৃণমূল কর্মীর। তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এদিন মাড়গ্রামে যান শতাব্দী রায়, দলের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি নিহতদের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সাংবাদিকদের বলেন, “দুটি তরতাজা প্রাণ চলে গিয়েছে। ফলে তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। নিউটনের বড় মেয়ে রয়েছে। তার চাকরির বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখব। লাল্টুর স্ত্রীর বিষয়েও আলোচনা করব। আর নিহতদের পরিবারের দাবি দোষীদের শাস্তি হোক। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করব যে, নিহতদের পরিবার আইনের উপর আস্থা রাখছে। ফলে যাদের নাম উঠে আসছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করুণ”।
আরও পড়ুনঃ
HIV Positive: প্রেম দিবসের আগেই পরিণতি পেল অন্যপ্রেম, চার হাত এক হল এইচআইভি আক্রান্ত দম্পতির
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬টি বই প্রকাশ বইমেলা, বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন প্রকাশকরা
KGF স্টার - কুম্বলে একফ্রেমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন তাঁরা