সংক্ষিপ্ত
ফের একবার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। আর এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পানিহাটি (Panihati)।
ফের একবার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। আর এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পানিহাটি (Panihati)।
ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেল পার্ক এলাকায়। অভিযোগ উঠছে, রবিবার রাতে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে দলেরই অন্য আরেক গোষ্ঠী। ফলে, পাল্টা সোমবার সকালে এলাকার যুব তৃণমূল সভাপতির অফিস ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা পানিহাটি এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, পানিহাটি পৌরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতি সুমিত পাল ওরফে রানাকে রবিবার, রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধর করা হয়। রানার অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার সময় সোদপুর অমরাবতীর কাছে তাঁর রাস্তা আটকায় কিছু দুষ্কৃতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেবাঞ্জন বলে আরেকজন।
তাদের দুজনকে সেখানে মারধর করে পরিতোষ দাস ওরফে পরি এবং তার দলবল। রানার দাবি, পরিতোষ দাসের মাথার উপর হাত রয়েছে পানিহাটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের। এই ঘটনার জেরে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে খড়দা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। কার্যত, শাসকদলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ একেবারে প্রকাশ্যে।
অন্যদিকে, এলাকার মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বুবাই মল্লিক বাইরে থেকে দুষ্কৃতি নিয়ে এসে এই এলাকায় নানা কার্যকলাপ চালায়। একসময় পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষের ছত্রছায়ায় ছিল এই বুবাই মল্লিক। যদিও পানিহাটির বিধায়ক তাঁকে এইধরনের কার্যকলাপ করতে বারণ করে। কিন্তু বুবাই সেই কথায় কোনরকম কর্ণপাত করেনি।
আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা সোমবার সকালে, অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অফিসে থাকা চেয়ার-টেবিল বাইরে ছুঁড়ে ফেলে ভাঙচুর চালানো হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় খড়দা থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় যুব তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “দলের একাংশ আমাকে ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনেও কাজ করতে দেয়নি। আমার অফিস খুলতেও বাধা দিচ্ছে ওরা।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।