Murshidabad News: বছর শেষের আগে চমকের পর চমক। নতুন দলের পর প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করে ফেললেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কী বললেন তিনি? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Murshidabad News: প্রথমে বাবরি মসজিদ তৈরির ঘোষণা, পরে নতুন দল তৈরির ঘোষণা। বছরভর একের পর এক চমক দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। আজ, সোমবার সেই নতুন দল ঘোষণার মঞ্চেও চমক দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। এদিন মঞ্চ থেকে ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ নামে নতুন দল ঘোষণা করেছেন হুমায়ুন।
মঞ্চে উড়ছে সেই দলের নাম লেখা পতাকা। সভায় ভিড় চোখে পড়ার মতো। সেই সঙ্গে হুমায়ুনের মঞ্চে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীদের। হুমায়ুন আগেই জানিয়েছিলেন যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে প্রার্থী দেবেন তিনি। সেই মতো একে একে নাম ঘোষণা করলেন।
হুমায়ুনের দলের নতুন প্রার্থী হলেন কারা?
ভরতপুর ও রেজিনগর- দুই কেন্দ্র থেকে নিজে লড়বেন হুমায়ুন।
খড়্গপুর গ্ৰামীণ কেন্দ্রে ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’র প্রার্থী হবেন ইব্রা হাজি।
মালদহের বৈষ্ণবনগরের প্রার্থী মুস্তারা বিবি।
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী মনীষা পাণ্ডে।
ভগবানগোলায় লড়বেন আর এক হুমায়ুন কবীর। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।
রানিনগর থেকে যিনি লড়বেন, তাঁর নামও হুমায়ুন কবীর।
দক্ষিণ দিনাজপুরের ধনিরাম বিধানসভার প্রার্থীর নাম ডঃ ওয়েদুল রহমান।
বালিগঞ্জের প্রার্থীর নাম নিশা চট্টোপাধ্যায়।
ইছাপুরের প্রার্থীর নাম সিরাজুল মন্ডল।
অর্থাৎ শুধু মালদহ-মুর্শিদাবাদে সীমাবদ্ধ থাকছেন না হুমায়ুন। বালিগঞ্জ, ইছাপুরের মতো কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়েছে। শীঘ্রই ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রার্থীদের মধ্যে মনীষা পাণ্ডে ছিলেন তৃণমূলের নেত্রী। এছাড়া রানিনগরের প্রার্থী ডাঃ হুমায়ুন কবীর ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কংগ্রেসের কাছে হেরে যান। সিরাজুল মন্ডলের দাবি, তিনি ২১ জুলাইয়ের আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন। এদিনের মঞ্চে নতুন দলের নাম লেখা পতাকার পাশাপাশি নাম লেখা টি শার্টও দেখা গিয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত অভিযোগ করেছেন যে বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একটি “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র” চলছে। আরএসএস প্রধান বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানটি “ভোটের জন্য করা হচ্ছে” এবং এতে হিন্দু বা মুসলমান কারোরই লাভ হবে না।
কলকাতায় মোহন ভাগবত বলেন, “এখন, বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে বিতর্ক আবার শুরু করার জন্য এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এটি ভোটের জন্য করা হচ্ছে; এটি মুসলমান বা হিন্দু কারোরই উপকারের জন্য নয়। এমনটা হওয়া উচিত নয়। আমি এটাই মনে করি।”
‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণের আহ্বানের বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন কবীর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরএসএস-এর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তোলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে আরএসএস-কে তাদের প্রভাব বিস্তারে সাহায্য করছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

