সংক্ষিপ্ত

এই হ্যান্ডবুককে সামনে রেখেই ২৪-এর নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে তৃণমূল। এই মুহূর্তে তৃণমূলের মূল লক্ষ্য জনসংযোগ। এবার ভোটের অস্ত্র তৃণমূলের এই হ্যান্ডবুক।

২৪-এর নির্বাচনের জন্য ইতিধ্যেই শুরু হয়েছে সলতে পাকানো। পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। এবার প্রচারাভিযানে তৃণমূলের হাতিয়ার হতে চলেছে হযান্ডবুক। গত ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ানকে সামনে রেখেই নির্বাচন লড়বে ঘাফুল শিবির। শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই বৈঠকেই দলীয় বিধায়ক ও পদাধিকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হল ৫০ পাতার হ্যান্ডবুক। এই হ্যান্ডবুককে সামনে রেখেই ২৪-এর নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে তৃণমূল। এই মুহূর্তে তৃণমূলের মূল লক্ষ্য জনসংযোগ। এবার ভোটের অস্ত্র তৃণমূলের এই হ্যান্ডবুক। দলের তরফে এই হ্যান্ডবুককে মানুষের কাছে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কী আছে এই হ্যান্ডবুকে?

তৃণমূলের ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে তৈরি ৫০ পাতার এই হ্যান্ডবুক। তৃণমূল সরকারের যাবতীয় প্রকল্পের সার সংক্ষেপ রয়েছে এই হ্যান্ডবুকে। রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, শিল্প, অর্থদফতরের কাজের হিসাব। কৃষি, ছাত্রদের জন্য ঋণ, বীমার ব্যবস্থা করার হিসাব। এছাড়া রয়েছে সংখ্যালঘু, আদিবাসী উন্নয়ন, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সাফল্যের হিসাব। থাকছে কলকাতার দুর্গাপুজার ইউনেস্কোর স্বীকৃতি থেকে শুরু করে যাবতীয় সাফল্যের কথা। হ্যান্ডবুকের প্রচ্ছদেও থাকছে একাধিক প্রকল্পের নাম। হ্যান্ডবুকে লেখা রয়েছে,'এখানে ধর্ম ও বর্ণ-জাতপাত নিয়ে কোনও হানাহানি নেই। মানুষের জন্য উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আগামিদিনে বাংলার উন্নয়নে এই মডেলই ভারতকে এক নতুন দিশা দেখাবে।'

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হ্যান্ডবুক প্রসঙ্গে বলেছেন,'ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল সরকার মানুষের জন্য যা যা করেছে তা সবটা এক জায়গায় একটি পুস্তিকায় করে দেওয়া হল। এগুলো মানুষকে দেখান। তাঁদের বলুন আমাদের সরকার তাঁদের জন্য এই কাজগুলো করেছে। এই সব সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কিনা মিলিয়ে দেখে নিন।'

প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের নীতি নির্ধারণের জন্য দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরদিঘিতে অপ্রত্যাশিত হারের কারণ, সংখ্যালঘু ভোট ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে আলোচনা। এবার লড়াইয়ের ময়দানে নামার আগে নতুন করে ঘুটি সাজাচ্ছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করতে নতুনভাবে বন্টন করা হল জেলা ভিত্তিক দায়িত্ব। একাধিক জেলার দায়িত্ব পড়ল নতুন হাতে। এই মর্মে একটি পোস্টও করা হয় টুইটারে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা-সহ একাধিক জেলার দায়িত্ব এল পরিবর্তন। পরিবর্তন এসেছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বেও।

কোন জেলার দায়িত্বে থাকছেন কে?

তৃণমূলের এখন পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। সম্প্রতি উপনির্বাচনে সাগরদিঘির ফলাফলের পর এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন করে জেলাভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করল তৃণমূল। কোন জেলার দায়িত্ব কার হাতে? দেখে নেওয়া যাক। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে নেওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রমো। এবার অফিসিয়ালি সেই কথা ঘোষণা করলেন মমতা। অন্যদিকে হাওড়া ও হুগলি দায়িত্বে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম। বর্ধমান, নদিয়া ও দার্জিলিং-এর দায়িত্ব থাকছে অরূপ বিশ্বাসের হাতে। মলয় ঘটকের দায়িত্বে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্বে থাকবেন তাপস রায়। বীরভূমের দায়িত্ব নিজেই সামলাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদার দায়িত্বে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে মোশারফ হোসেন। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বেও থাকছেন মেশারফ হোসেন।

আরও পড়ুন - 

পরিকল্পনা করেই নওশাদ সিদ্দিকিকে ধাক্কা মারা হয়েছে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে এফআইআর কলকাতা পুলিশে

ডিএ ধর্নামঞ্চে আক্রান্ত নওশাদ সিদ্দিকে, 'সংখ্যালঘুদের জন্য কি করেছ'- প্রশ্ন করে ধাক্কা বিধায়ককে

'স্বামীর এত সম্পত্তি জানতাম না', এই দাবি করে শান্তনু নির্দোষ বলে সওয়াল স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার