সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। তবে সে সম্পর্ক এখন বিস্মৃতির পাতায়। এখন পোড়খাওয়া বিজেপি নেতা হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তার দিন শুরু হয় তৃণমূলের সমালোচনায়।

দরাজ গলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংসা করতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুনে চমকে যাচ্ছেন তো! কারণ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে একাধিকবার নিজের পুরনো দলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মাঝেমধ্যে সেই আক্রমণ মাত্রাও ছাড়িয়েছে। তবে লোকসভা ভোটের মধ্যে সেই শুভেন্দুর মুখেই শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংসা! আজ্ঞে হ্যাঁ। ঠিক এমনই ঘটেছে।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। তবে সে সম্পর্ক এখন বিস্মৃতির পাতায়। এখন পোড়খাওয়া বিজেপি নেতা হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তার দিন শুরু হয় তৃণমূলের সমালোচনায়। সম্প্রতি এহেন ব্যক্তিত্বের মুখেই শোনা গেল প্রতিপক্ষ দলের প্রশংসা। বুধবার কাঁথি টাউন হলে বিজেপির দলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই তৃণমূলের তারিফ করেন তিনি।

নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘আমি সব বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করলেও বিরোধী দল হিসেবে ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সাল অবধি তারা যে ধৈর্য ধরে রেখেছিল সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। ওরা কখনও কংগ্রেসের সাহায্য নিয়েছে, কখনও এনডিএ-র অংশ হয়েছে, বেরিয়েছে। কখনও আবার এসইউসি-র সঙ্গে জোট বেঁধেছে। আবার কখনও সিদ্দিকুল্লার সাহায্য নিয়েছে’।

ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, ভোটের আবহে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ‘উদ্বুদ্ধ’ করতেই পুরনো নানান প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন শুভেন্দু। ধৈর্য ধরলে যে ফল পাওয়া যায়, কার্যত সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন তিনি। গতকালের বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেক ত্যাগ করতে হবে। কৃচ্ছ্রসাধারণ করতে হবে। সংযম পালন করতে হবে। সবাই সব কিছু না-ও পেতে পারেন। হয়তো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অথবা বিরোধী দলনেতা বাছাই আমাদের ১০০ শতাংশ ঠিক হয়নি। তা সত্ত্বেও আমাদের রাজ্যে বিজেপি সরকার আনতে হবে। দলকে ক্ষমতায় আনাটাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য’।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।