ব্যারাকপুর আদালতে বহু দিন ধরেই চলছিল ২০১৪ সালের এই পিটিয়ে খুনের মামলাটি । বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নোটিস দিলেও কাউন্সিলর নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান। অবশেষে শুক্রবার আদালতে আসতেই পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গ্রেফতার হন। 

হাতের নাগালে পেতেই তৃণমূল কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে বসলেন বিচারক। জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর আদালতে চলছিল ২০১৪ সালে থেকে একটি মামলা। কাউন্সিলরকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার বারবার নোটিস দেওয়ার পরেও নানাবিধ কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যেতেন তিনি। এদিন ব্যারাকপুর আদালত চত্বরে তাঁকে গ্রেফতার করে ফেলে পুলিশ৷ এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় আদালত চত্বরে।

ধৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম তারক গুহ৷ তিনি পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর৷ এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যারাকপুর আদালত চত্বর থেকে৷ আদালত সূত্রে জানা যায়, বিচারক তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাই নেপাল গুহ সহ মোট পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর শম্ভু চক্রবর্তী নামে একজনকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে পানিহাটি পুরসভা এলাকায় ৷ সেই গণপিটুনির ঘটনায় তারক গুহ এবং তাঁর ভাই সহ আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত ছিলেন৷ পরবর্তী সময়ে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তারক গুহ ৷

জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর আদালতে বহু দিন ধরেই চলছিল ২০১৪ সালের এই পিটিয়ে খুনের মামলাটি । বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নোটিস দিলেও কাউন্সিলর নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান। অবশেষে শুক্রবার আদালতে আসতেই পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গ্রেফতার হন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দুর্গাপুজোর সময় এলাকার এক স্থানীয় যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে তারক গুহ ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। সেইসময় কাউন্সিলর না হলেও এলাকায় তার দাপট কম ছিলনা। পরবর্তীতে কাউন্সিলর হতেই সব প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। অবশেষে এদিন আদালতে হাজিরা দিতেই বিচারক নির্দেশ দেন তাঁকে গ্রেফতারের । কোন ক্ষমতা বলে এই একটি ঘটনাকে দশ বছর ধরে ধামাচাপা দিয়ে রাখলেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর, এমনই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।