সংক্ষিপ্ত
সরস্বতী পুজোর দিন বাড়ির পাশাপাশি অনেক স্কুলেও ঢালাও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। ক্লাবগুলিতেও খাওয়া দাওয়া হয়।
সরস্বতী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে গেছে। মাঝে বাকি মাত্র এক দিন। বুধবার সরস্বতী পুজো বা বসন্ত পঞ্চমী। পুজোর দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সবজিপাতির দাম। শুধু সবজিপাতি নয়, পাল্লা দিয়ে চড়ছে ফল আর ফুলের দাম।
সরস্বতী পুজোর দিন বাড়ির পাশাপাশি অনেক স্কুলেও ঢালাও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। ক্লাবগুলিতেও খাওয়া দাওয়া হয়। তাই অনেকই সরস্বতী পুজোর বাজার করতে শুরু করে দিয়েছে। সরস্বতী পুজোর দিনেই অনেকের বাড়িতে থাকে গোটারান্না বা অরন্ধন। তাই সবজিপাতের প্রয়োজন। সবমিলিয়ে সরস্বতী পুজোর বাজার করতে গিয়েই অনেকেই মাথায় হাত দিতে হচ্ছে। কারণ চড়তে শুরু করেছে সবজির বাজার। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলির মত জেলাপ বাজারে গিয়েও নাভিঃশ্বাস ওটার উপক্রম হয়েছে ক্রেতাদের। ক্রেতাদের দাবি গত বছরের তুলনায় সব সবজি ফল আর ফুলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
সরস্বতী পুজোর দিনে প্রয়োজন হয় কুল, শাঁকালুসহ একাধিক ফল। কিন্তু এবার ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। ১০০ গ্রাম কুল কিনতে গিয়ে ২০-২৫ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে দুটি মুসম্বির দাম ২০ - ৩০ টাকা। পলাশ আর হলুদ গাঁদা ফুলের দামও গত বছররের তুলনায় বেড়েছে অনেকটা। একটি পলাশ ফুলের দাম ২০-২২ টাকা। তবে সর্বত্র দাম কিন্তু এক নয়। ক্রেতাদের অভিযোগ, ফলের দাম গত বছরের থেকে অনেকটাই বেশি। একই অবস্থা ফুলের দামেও। বিক্রেতাদের কথায় দাম বেশি। আর সেই কারণে কেনাকাটি হলেও ক্রেতারা অল্প পরিমাণেই সবকিছু কিনছেন। সবমিলিয়ে বাজারে মন্দার ছবির কথাই বললেন তাঁরা।
অন্যদিকে সবজির বাজারে আগুন। জেলার বাজারগুলিতে প্রমাণ সাইজের একটি ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে প্রা. ৩০-৪০ টাকায়। বাঁধাকপির পিস আগের বছরও ছিল ১০ -১৫ টাকা করে। এবার তা কিনতে গিয়ে খরচ হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। অব্যদিকে আদা রসুনের মত রান্না উপকরণের দামও আকাশ ছোঁয়া। আদার কিলো ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। অন্যদিকে রসুনের দাম ৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে। অন্যান্য মশলাপাতির দামও বাড়ছে। তাই সরস্বতী পুজোর বাজার করতে গিয়ে অনেক ক্রেতাই ঘেমেনেয়ে একসা হচ্ছে। আক্ষেপ বাড়ছে বিক্রেতাদেরও। কেনাকাটা হলেও পরিমানে অনেকটাই কম বলেও তারা জানাচ্ছে।