সংক্ষিপ্ত
দুর্গাপুজো শেষে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নদিয়া জেলার রানাঘাটের কামালপুরে ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা পুজোর অনুমতি না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
বুধবার ষষ্ঠীর সন্ধেবেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক পালন করেছিলেন মহিলারা। রবিবার মাথা মুড়িয়ে প্রায়শ্চিত্ত করলেন পুরুষরা। এভাবেই নদিয়া জেলার রানাঘাটের কামালপুর গ্রামে ১১২ ফুট লম্বা দুর্গামূর্তি পুজো করার অনুমতি না পাওয়ার প্রতিবাদ জানালেন গ্রামবাসীরা। এদিন ৫০ জন গ্রামবাসী মাথা মুড়িয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেন। সবচেয়ে বড় দুর্গামূর্তি তৈরি করে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে ছিল কামালপুুর অভিযান সংঘ। ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও এই উদ্যোগে সামিল হন। কিন্তু প্রশাসন এই বিরাট দুর্গামূর্তি পুজো করার অনুমতি দেয়নি। ফলে মাঝপথেই মূর্তি তৈরির কাজ থমকে যায়। মাটিতে ধুলোয় পড়ে আছে অসমাপ্ত মূর্তি। যা দেখে চোখের জল আটকাতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।
প্রশাসনের অনুমতি না পেয়ে বন্ধ পুজো
কয়েক বছর আগে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে বিরাট দুর্গাপ্রতিমা গড়া হয়েছিল। সেই দুর্গামূর্তি দেখার জন্য অস্বাভাবিক ভিড় হয়েছিল। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সে কথা মাথায় রেখেই রানাঘাটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গাপ্রতিমা নির্মাণ করে পুজোর অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। কিন্তু আদালত সরাসরি কোনও নির্দেশ দেয়নি। জেলাশাসক ও পুলিশের উপর বিষয়টি ছেড়ে দেয় আদালত। প্রশাসন অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। ফলে পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন কামালপুরের বাসিন্দারা।
কামালপুরে শোকের ছায়া
সারা বাংলা যখন দুর্গাপুজোয় মেতে, তখন কামালপুরে অন্ধকার। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই পুজো করার জন্য চাষ না করে জমি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে পুজো করা সম্ভব হল না। তিন মাস ধরে ১১২ ফুট লম্বা দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ চালানো হয়েছিল। কিন্তু পরিশ্রম, অর্থ সবই বৃথা গেল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'আবার এসো মা ...', ঢাকের বোলে বিদায়ের সুর- দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ