সংক্ষিপ্ত

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্য থেকে সর্বাধিক আসন পেয়েছিল। তারপরই বিধানসভা নির্বাচনে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল।

চলতি নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩০-৩৫টি আসন পাবে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। বিজেপির সেনাপতি অমিত শাহ পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই রাজ্যের নেতাদের সেইমত নির্দেশও দিয়েছিলেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ ভোট প্রচারে চষে বেরিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক সভা, রোডশো করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যে বিজেপির ধস। বিজেপি-সহ বিরোধীদের শত যোজন দূরে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এপর্যন্ত সবথেকে ভাল ফল বলেও দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের এই সাফল্যের পিছনে মূল কারিগর কী তাই নিয়ে শুরু হয়েছে কাঁটাছেড়া।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্য থেকে সর্বাধিক আসন পেয়েছিল। তারপরই বিধানসভা নির্বাচনে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল। টার্গেট করে বাংলার মহিলাদের। চালু করা হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে রাজ্যের মহিলাদের বর্তমানে ১০০০ টাকা ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মহিলাদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সর্বদাই রীতিমত সরব থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোধ্য়ায় , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় - সকলেই প্রচারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা তুলে ধরেছেন। রাজ্যের ছোট বড় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাও এই প্রকল্প নিয়ে রীতিমত সরব।

কেন্দ্র বিরোধী অভিযোগ

ভোট প্রচারে তৃণমূল সব থেকে বেশি সরব হয়েছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে। কেন্দ্রের বঞ্চনা, ১০০ দিনের কাজে টাকা না দেওয়া, জিএসটি পুরোটা কেন্দ্র নিয়ে নেয়- এই অভিযোগগুলি তুলেছিল। পাশাপাশি রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারাও কেন্দ্রের টাকা আটকে রাখার ব্যাপারে মদত দেয়। পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

যদিও চলতি বছর দুর্নীতির অভিযোগে সরব ছিল বিরোধীরা। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা, রেশন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিরোধীরা সরবও হয়েছিল। কিন্তু তাও হালে পানি পায়নি। সিপিএম এই ভোটেও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন। অন্যদিকে শিবরাত্রিরের সলতের মত একটি আসনে জ্বলছে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে মাত্র ১০টি আসনে।