- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- শীতের পথে কাঁটা বৃষ্টি! ফের সাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের জেলায়-জেলায় হাওয়া বদলের পূর্বাভাস
শীতের পথে কাঁটা বৃষ্টি! ফের সাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের জেলায়-জেলায় হাওয়া বদলের পূর্বাভাস
WB Weather Alerts: নভেম্বরের শুরুতেও দেখা নেই শীতের। ফের কাঁটা বৃষ্টি। কবে থেকে জাঁকিয়ে পড়বে শীত? রইল আবহাওয়া দফতরের বড় আপডেট। দেখুন ফটো গ্যালারি…

আজকের আবহাওয়ার আপডেট
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় আগামী এক সপ্তাহ শুকনো আবহাওয়া বজায় থাকবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক-দু’জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া বদল কবে থেকে?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ন্যূনতম তাপমাত্রায় বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে বুধবার উপকূলের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য ও মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ (Low Pressure Area) অবস্থান করছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ বাংলাদেশের উপকূলের গভীর সমুদ্রে ৩ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া (বেগ ৩৫–৪৫ কিমি, দমকা হাওয়া ৫৫ কিমি পর্যন্ত) বইতে পারে।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, জেলেদের ৩ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত দেখা যাবে উত্তরবঙ্গজুড়ে। সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে উত্তরের পার্বত্য জেলাগুলিতে। তবে মঙ্গলবার থেকে আর বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই।
কোথায় তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা?
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। এছাড়াও মধ্য বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব অসমে তৈরি হতে পারে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত।

