সংক্ষিপ্ত
আগামী সপ্তাহের প্রথম দিনও ঠান্ডার প্রকোপ থাকবে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়বে। জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পৌষ সংক্রান্তি থেকে সরস্বতী পুজো-শীতের আমেজই ছিল না। হাওয়া অফিসেরও পূর্বাভাস ছিল বিদায় নিতে চলেছে শীত। কিন্তু বিদায় মূহুর্তেই ঘুরে দাঁড়াল শীত। আপাতত দুই দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়ার তেমন কোনও হেরফের হবে না। তাপমাত্রার পারদ ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। আগামী সোমবার পর্যন্ত আবহাওয়ার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। কিন্তু তারপর থেকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই বাড়তে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে উত্তর-পশ্চিম হওয়া ভালোই ডুকছে। গত দু-তিন দিনে ৫° মতো তাপমাত্রা কমে গেছে। আজকের কলকাতায় তাপমাত্রা ১৪.৭ ডিগ্রি। এই উত্তর-পশ্চিমের হাওয়া আগামী সোমবার পর্যন্ত চলতে থাকবে । আগামী রবি ও সোম তাপমাত্রা এরকমই থাকবে।' তবে তাপমাত্রার পারদ চড়লেও শীত বিদায় নেবে কিনা তা জানাননি হাওয়া অফিসের কর্মকর্তা। সিকিম ও দার্জিলিং এ খুব সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। যার কারণে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঠান্ডা আরও বাড়বে। তবে এই ঠান্ডা বেশ কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে।
আগামী মঙ্গলবার থেকে দিনের ও রাতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে রাতের তাপমাত্রা ১৮-১৯ ডিগ্রিএর কাছাকাছি হয়ে যাওয়ার চান্স রয়েছে। মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র পর্যন্ত এরকম তাপমাত্রা থাকবে।
গত জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই চড়া ছিল। সেই সময় হাওয়া অফিস জানিয়েছিল উষ্ণতম জানুয়ারি। কারণ দুটি স্পেলে ৬ দিন করেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রার এই পতন অনেকের কাছেই স্বাভাবিক ছিল না। তবে তাপমাত্রার এই পতনে কিন্তু খুশি এই রাজ্যের শীতবিলাসীরা।
জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই নিম্নগামী। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম চার দিন তা অব্যাহত রয়েছে। আগামী সপ্তাহেও শীতের আমেজ থাকবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। একটানা শীত না থাকলেও ক্ষেপে ক্ষেপে শীত এবার একটি লম্বা ইনিংস খেলল বলা চলে।
আরও পড়ুনঃ
আরও আকর্ষণীয় হচ্ছে বাংলার পর্যটনের নতুন স্পট বেঙ্গল সাফারি পার্ক, আসছে ব্ল্যাক বাক ও গন্ডার
৭৫ বছরে এটাই শ্রেষ্ঠ বাজেট, কোয়েম্বাটুরে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর
আসছে গরম? ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রাজ্যে