সংক্ষিপ্ত
এক দিনের সফরে কোমেম্বাটুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন এটাই শ্রেষ্ঠ বাজেট। আধুনিক এই বাজেট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
বাজেট পেশের আগেই বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতারা বাজেট নিয়ে প্রচারের রণকৌশল তৈরি করেছিলেন। সেই রণকৌশলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। শনিবার তিনি কোয়েম্বাটুর সফরে যান। সেখানে বাজেট নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি আরও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন।
কোয়েম্বাটুরের সিদ্ধাপুদুর এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয়ে রাজীব চন্দ্রশেখর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে কোডিসিয়া কমপ্লেক্সে কোয়েম্বাটুর ও তিরুপুর শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা একটি বৈঠক করেন। কোয়েম্বাটোর দক্ষিণ বিধানসভার সদস্য এবং বিজেপি মহিলা মোর্চা প্রধান বনথি শ্রীনিবাসন এবং সিনিয়র বিজেপি নেতা অধ্যাপক কানাগাসাবাপতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বনথী শ্রীনিবাসন বলেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত পরিকল্পনা কোয়েম্বাটুরে ভালভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত দক্ষ কর্মী তৈরি করা খুবই জরুরি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বসেন, গত ৯ বছর ধরে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হয়েছে, যাতে দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়। শিল্পক্ষেত্রে সবকটি সেক্টরকে মাথায় রেখেই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। ছোট, মাইক্রো ও মাঝারি উদ্যোগগুলির পবিকাশ করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান দায়িত্ব হল আধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার শিল্প সংস্থাগুলিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো। দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে আরও দক্ষ ও উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া।
রাজীব চন্দ্রশেখর আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংকট সত্ত্বেও গত ৭৫ বছরে এটাই শ্রেষ্ঠ বাজেট। চিন, ব্রিটিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলি করোনাভাইরাসের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত আর্থিক সংকটে ভুগছে। তাদের তুলনায় ভারতের অবস্থান অনেকটাই ভাল জায়গায় রয়েছে। ভারত ১৩.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের বাজেট পেশ করেছে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর দাবি এই বাজেট ভবিষ্যতে ভারতে শীর্ষে নিয়ে যাবে। জিএসটি সংক্রান্ত অ-বাজেট প্রশ্নের উত্তরও দেন। তিনি বলেন জিএসটি কাউন্সিল যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
অরাজনৈতিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজেট রাজনৈতিক দৃষ্টকোন থেকে তৈরি করা হয়নি। জনগণের স্বার্থেই বাজেট তৈরি হয়েছে। জনগণ দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দেবে বলেও আশাবাদী তিনি। তিনি আরও বলেন এই বাজেটে ডিজিটাল অর্থনীতির একটি বড় ভূমিকা থাকবে। এটি যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সেরা বাজেট। ৯ বছর ভারত দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে দেশ উন্নতির শিখরে রয়েছে। এই আধুনিক বাজেট দেশকে আগামী দিনে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার শিল্প উন্নয়ন ও দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে কোয়েম্বাটুর থেরে শুরু হবে। পরবর্তীকালে কোয়েম্বাটুর ও তিরুপর এলাকার শিল্পপতিরা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এদিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিল্লি ফেরেন।
আরও পড়ুনঃ
FPO তুলে নিয়ে টাকা ফেরনোর কথা ঘোষণা আদানিদের, নির্মলার বাজেট পেশেরই বড় সিদ্ধান্ত গৌতম আদানির
নারকীয় চিকিৎসা মধ্য প্রদেশে! নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর গায়ে ৫১ বার ছ্যাঁকা
মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা চালাতে পারে তালিবান সংগঠনের সদস্য, NIA দফতরে হুমকি চিঠি