সংক্ষিপ্ত

সেমিনার রুমের পাশের ঘর ভাঙায় জড়িত ছিল জুনিয়র চিকিৎসকরাও? আরজিকরকাণ্ডে ঘনিয়ে এল হাড় হিম করা রহস্য

৯ অগাস্ট আরজিকরের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তারপরেই ভেঙে ফেলা হয় চিকিৎসকদের ডিউটি রুম । শৌচাগার নির্মাণের জন্যেই নাকি ডিউটি রুম ভেঙে ফেলা হয় এমনই জানানো হয় কর্তৃপক্ষ থেকে যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এল।

বেশ কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আরজিকরের সেমিনার রুমের পাশের ঘর ভাঙায় হাত ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদেরও।

জানা গিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধারের পরের দিনই সেমিনার রুমের সংলগ্ন এলাকা ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যায়। এই ভাঙচুরের নির্দেশে অবশ্য হাত ছিল আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের।

ঘর ভাঙার আবেদনপত্রে সই ছিল, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ১৮ জন ট্রেনি চিকিৎসকের। পরে এই নিয়ে একটি ৮ জনের সদ্যস কমিটিও গঠন করা হয়। এই কমিটিতে ছিলেন সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও তিনজন পিজিটি। এই তথ্য জানাজানি হতেই আরও বড় রহস্যের সূত্র পাওয়া গেল।

অন্যদিকে ট্রেনিদের একাংশর তরফে জানান হয়, ঘর ভাঙার কাজ তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই শুরু হয়েছিল। এই দোষ সন্দীপ ঘোষের উপরেই চাপিয়েছেন তাঁরা। এমনকী গোটা বিষয়ে অন্ধকারে ছিল স্বাস্থ্য দফতরও।

এ প্রসঙ্গে পিজিটিরা সিবিআইকে জানিয়েছেন, " ১২ অগাস্ট ভঙচুরের ঘটনা ঘটলেও ১৩ তারিখ সে বিষয়ে জানতে পারি। আমরা তো একটানা আন্দোলনে ছিলাম। সেই সময় আলাদা করে আর প্রশ্ন করা হয়নি বিষয়টি নিয়ে। কবে সেখানে কাজ হবে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু, যখন কাজ হচ্ছিল সেখানে তো পুলিশ পোস্টিং ছিল।"