Bengal Excise Act: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ২০২৫ সালের পশ্চিমবঙ্গ অর্থ বিল পাশ করেছে, যেখানে বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৯-এর গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন করা হয়েছে।
Bengal Excise Act: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ অর্থ বিল ২০২৫-এ বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৯-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো, বারে মহিলাদের কাজের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। নিয়মটিকে বৈষম্যমূলক মনে করার জন্যই এই পরিবর্তন। এবার থেকে রাজ্যের মহিলারা বারে কাজ করতে পারবেন। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই বিলটি বিধানসভায় পেশ করেন এবং বুধবার তা পাশ হয়। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলও বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টকে আধুনিক করা।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি হলো, ওএন (ON) ক্যাটাগরির মদের দোকানে মহিলাদের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। বিলে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনটি দরকার ছিল, কারণ "ওএন ক্যাটাগরির মদের দোকানে মহিলাদের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক ছিল।" এছাড়াও, প্রধান আইন যেমন কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর এবং ইন্ডিয়ান পেনাল কোড-এর জায়গায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আসার কারণে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল, সেগুলোও এই বিলে যোগ করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, "বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে বাতিল হওয়া আইনগুলোর উল্লেখ ছিল, তাই সেই অনুযায়ী সংশোধন করা হয়েছে।"
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো গুড় (molasses) ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা, যাতে এটি অবৈধ মদ তৈরিতে ব্যবহার করা না যায়। বিলে বলা হয়েছে, অবৈধ মদ তৈরি বন্ধ করার জন্য গুড়কে (molasses) উপকরণের তালিকায় যোগ করা দরকার। আরও বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে যাতে বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৯ এবং পশ্চিমবঙ্গ গুড় নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৭৩ একে অপরের পরিপূরক হয় এবং কোনও বিষয়ে যেন পারস্পরিক বৈরিতা না থাকে। পশ্চিমবঙ্গ গুড় নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী গুড়ের লাইসেন্স এবং পারমিট সংক্রান্ত নিয়মকানুন আগে যেমন ছিল তেমনই থাকবে। তবে অবৈধ মদ তৈরির জন্য এর অপব্যবহার করা হলে, সেটা বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৯-এর অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
এই বিলে আরও একটি নিয়ম যোগ করা হয়েছে, যেখানে ডিস্টিলারি (distilleries) এবং ওয়্যারহাউসে (warehouses) অতিরিক্ত স্পিরিট নষ্ট হলে তার ওপর জরিমানা করা হবে। এটিকে একটি প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, অস্থায়ী মদের লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যাতে "রাজ্যের রাজস্বের স্বার্থে মদের দোকানগুলো স্থায়ী বন্দোবস্ত না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারে।"
পাশাপাশি, বাজেয়াপ্ত করা জিনিস confiscation of seized articles) confiscation of seized articles-এর জন্য একটি আইনি প্রক্রিয়া চালু করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে কাজ করতে সুবিধা হয়। অন্য একটি বিধানে বলা হয়েছে, আবগারি দফতরের সব অফিসারকে ডিউটিতে থাকার সময় সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
এছাড়াও, আবগারি প্রশাসনের কাঠামোতে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। "অতিরিক্ত আবগারি কমিশনার"-এর পদটিকে "বিশেষ আবগারি কমিশনার" করা হয়েছে, কারণ পদটি উন্নীত করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালে বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে আরও কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল, যাতে আইন আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করা যায়, অপরাধগুলোকে পরিমাণের ভিত্তিতে ভাগ করা যায় এবং বিভাগীয় জরিমানা বাড়ানো যায়।


