সংক্ষিপ্ত
রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি। কার্যত কেঁপে উঠল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি এবং তার আশপাশের এলাকা। আর তারপরেই শুরু সংঘর্ষ।
রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি। কার্যত কেঁপে উঠল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি এবং তার আশপাশের এলাকা। আর তারপরেই শুরু সংঘর্ষ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কাঁকসা থানা এলাকার গোপালপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর বড়কালী মন্দিরের পাশে সঞ্জয় লায়েক এবং প্রদ্যুৎ লায়েকের পরিবারের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বাড়ির পাশের একটি জমিকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল। তাই নিয়েই বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় দুই পক্ষের বাদানুবাদ।
সেই বিবাদ থেকেই শুরু হয়ে যায় পরপর গুলিবর্ষণ এবং হাতাহাতি। আচমকাই এমন অশান্তি দেখে প্রতিবাদ করে ওঠেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই। কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলেই মেরে তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে, ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় ঐ এলাকায়।
এমনকি, পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছে যায় কাঁকসা (Kanksa) থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্ত দুজনকেই আটক করা হয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত সদস্য চন্দনা পালের অভিযোগ, “আমার বাড়ি এখানে হলেও আমি গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই পার্শ্ববর্তী এলাকার সদস্য। বৃহস্পতিবার, রাতে আমার মামা সঞ্জয় লায়েক গুলির শব্দ শুনতে পেয়েই চিৎকার করে ওঠেন।”
তাঁর কথায়, “প্রদ্যুৎ লায়েক বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে সরকারি সৌরশক্তি চালিত পথবাতির ওপর। তারপরই আমার ভাই কালু পাল প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকেও মারধর করে ঐ প্রদ্যুৎ লায়েক। আমি তৎক্ষণাৎ পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকদের বিষয়টি জানাই। পুলিশকেও খবর দিই।”
ওদিকে আবার প্রদ্যুৎ লায়েকের মা রমা লায়েকের অভিযোগ, “আমার ছেলেকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকেই কাঞ্চনদের সঙ্গে জমি নিয়ে একটা ঝামেলা রয়েছে। সেই জমিও ওরা কেড়ে নিতে চাইছে। এমনকি, বাড়িও কেড়ে নিতে চাইছে। ওরা রাতের অন্ধকারে নানান অসামাজিক কাজকর্ম করে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।