সংক্ষিপ্ত

সেলিম আরও বলেন পঞ্চায়েত ভোটে খারাপ ফলের ভয়েই এত সন্ত্রাস ছড়াল রাজ্যের শাসক দল। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ও পঞ্চায়েত আইনের অপব্যবহার করে সন্ত্রাস করে বেড়াল তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি মহম্মদ সেলিমের।

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এতক্ষণে প্রমাণিত। প্রাথমিক গণনার শুরু থেকেই অনেক বেশি মার্জিনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দিন যত গড়াল ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসার খবর মিলেছে। কোথাও ব্যালটে কালি ঢেলে দেওয়া, কোথায় সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট পর্যন্ত খেয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী। এরকম অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী দিনভর রইল রাজ্য।

তবে অবাক করেছে নির্বাচন কমিশনের সাইটের বিকল অবস্থা। এই বিষয় নিয়ে সরব হন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি কড়া ভাষায় বলেন জেলায় জেলায় পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকরা কার্যত নির্বাচন কমিশনের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করেছেন। নয়তো বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের মস্তানরা ব্যালট নষ্ট করল, আর নির্বাচন কমিশন কোনও আপডেটই দিতে পারল না।

এদিন সেলিম আরও বলেন পঞ্চায়েত ভোটে খারাপ ফলের ভয়েই এত সন্ত্রাস ছড়াল রাজ্যের শাসক দল। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ও পঞ্চায়েত আইনের অপব্যবহার করে সন্ত্রাস করে বেড়াল তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি মহম্মদ সেলিমের। বেশ কিছু জায়গায় যেখানে বাম প্রার্থীরা জিতেছেন, তাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানেও কারচুপি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মহম্মদ সেলিমের।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল থেকেই সমস্যা হচ্ছিল নির্বাচন কমিশনের সাইটে। http://wbsec.gov.in এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে 'গেটওয়ে টাইম আউট' তথ্য সামনে আসছিল। ফলে এই ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করতে পারছিলেন না। ভোটের ফলাফলের দিন কি তবে যান্ত্রিক সমস্যায় পড়েছিল নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট? নাকি এখানে শাসক দলের হাত রয়েছে, প্রশ্ন তোলেন মহম্মদ সেলিম।

ভোট শেষ হওয়ার আগেই লুঠ শেষ হয়নি বলে এর আগে অভিযোগ করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। ট্যুইট করে তিনি দাবি করেছিলেন, সিঙ্গুরে সিল করা ব্যালট বাক্স খোলার চেষ্টা হাতেনাতে ধরেছে মানুষ। তবে, কমিশনের কাছে কোনও জবাব নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র কালীঘাটের নির্দেশ পালন করছে বলেও আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন মহম্মদ সেলিম। ট্যুইট করে তৃণমূল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন মহম্মদ সেলিম।

রাজ্য জুড়ে মোট ভোটগণনা কেন্দ্র ৩৩৯। স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলছে গণনা। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ঘোষণা করবেন বিডিও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে ২ রাউন্ড করে গণনা হবে। কোথাও কোথাও গণনা হবে তিন রাউন্ড। শেষ না হওয়া পর্যন্ত গণনা চলবে। এদিন গণনা শেষ না হলে পরের দিনও তা চলবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, গণনা পুরো শেষ হতে ১২ জুলাই পেরিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন

TMC Win: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিরাট সাফল্য তৃণমূলের, জেলা পরিষদে ৮৫র মধ্যে ৮৪টি আসন পেয়ে টক্কর বিরোধীদের

Bhangar Violence: সন্ত্রাসের মুক্তাঞ্চল ভাঙড়ে ২ ISF কর্মী-সহ মৃত ৩, এলাকায় টহল বিশাল পুলিশ বাহিনীর