সংক্ষিপ্ত
পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে এবার উত্তর পাওয়ার পালা। মঙ্গলবার রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত ছিল ভোটের দিনও। আর রেশ রয়ে গেল পুনর্নিবাচনের দিনও। রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলার একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে। সব মিলিয়ে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে ৬৯৬টি বুথে। সোমবার সকাল থেকে একের পর এক মৃত্যুসংবাদ এসেছে। ভোটের দিনের সংঘর্ষে বেড়ে হয়েছে ১৮।
পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে এবার উত্তর পাওয়ার পালা। মঙ্গলবার রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা। রাজ্যের ৩৩৯টি কেন্দ্রে গণনা চলবে। গ্রাম বাংলায় শাসকের পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন? সে জবাব মিলবে মঙ্গলবার ১১ জুলাই। রা পোহালেই উত্তর দেবে বাংলার জনগণ। ২২টি জেলায় রাজ্যের ৬১,৫৩৯টি বুথে নিজের রায় জানিয়েছে মানুষ। সে রায় এখন ব্যালট বন্দী। তালা খুলবে মঙ্গলবার সকাল ৮টায়।
অশান্তি ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নয়া নজির গড়েছে বাংলা। ২০১৮ সালের ভোট সন্ত্রাসের রেকর্ড ভেঙে ২০২৩ সালে রক্তগঙ্গা বয়েছে বাংলার মাটিতে। ভোটগ্রহণে লাগামছাড়া সন্ত্রাস, নজিরবিহীন হিংসার শেষে ফের সোমবার ১৯টি জেলার ৬৯৬টি বুথে পুর্ননির্বাচনের আয়োজন করা হয়। অশান্তি, ছাপ্পা, বুথ লুঠের অভিযোগে বিধ্বস্ত পঞ্চায়েত ভোট।
বিএসএফ ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিংহভাগ কোম্পানিই রাজ্যের ৩৩৯ ভোট গণনা কেন্দ্র ও স্ট্রংরুমের সুরক্ষার দায়িত্বে। গণনার সময় প্রতি কেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিএসএফের আইজি। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধেই বিএসএফ মোতায়েন করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার দাবি ২৫টি রাজ্য থেকে সেন্ট্রাস আর্মড পুলিশ ফোর্স ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের ৫৯ হাজার জওয়ান উপস্থিত ছিল এই রাজ্যে। কিন্তু তাদের কোনও সংবেশনশীল ভোটকেন্দ্রে পাঠান হয়নি। ওই জাতীয় ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যাপ্ত ব্যবহার করা হয়নি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন মোট ৬১ হাজার ৬৩৬টি পোলিং বুথ তৈরি করেছিল। আর নিরাপত্তার জন্য CAPF ও রাজ্য পুলিশ বাহিনীর ৫৯ হাজার কর্মী শনিবার রাজ্যে উপস্থিত ছিল। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও সমস্ত ব্যালয় বাক্সগুলি CAPF এর তত্ত্বাবধানে রাজ্যের ৩৩৯টি স্ট্রংরুমে নিরাপদে রাখা হয়েছে। ভোট গণনা শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার।
গণনার সময় প্রতি কেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিএসএফের আইজি। মঙ্গলবার সকালে স্ট্রংরুম থেকে গণনার জন্য আনা হবে ব্যালট বক্সগুলি। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনের ব্যালটের গণনা হবে।