সংক্ষিপ্ত
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় এই 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি'।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্বে নজিরবিহীন সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। ঘটনার তদন্তে রাজ্যে এসেছে বিজেপির 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি'। সাংসদ রবিশংকর প্রসাদের নেতৃত্বে বাংলায় আসে এই তথ্য অনুসন্ধানকারী দল। হিঙ্গলগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকায় গিয়েছিলেন এই কমিটির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার এই মর্মে রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় এই 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি'। রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে ঠিক কী বললেন তাঁরা?
রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি এই তথ্য অনুসন্ধান দলের নেতৃত্বে থাকা সাংসদ রবিশংকর প্রসাদ। তিনি বলেছেন,'প্রথমবার মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের মুখে অনুতাপ শোনা গেল। তবে শুধু অনুতপ্ত হলেই হবে না, হিংসা রুখতে পদক্ষেপও নিতে হবে। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে গোটে বিষয়টা দেখতে বলেছি। যেখানে যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেছে সব ক্ষেত্রে যেন কঠোর পদক্ষেপ করা হয়, তা যেন উনি নিশ্চিত করেন।' এখানেই শেষ নয় রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,'মমতার সরকারের আমলে কেউ কোনও অভিযোগ শোনে না। না পুলিশ মানুষের কথা শোনে, না প্রশাসন মানুষের কথা শোনে। সংবাদমাধ্যমে মৃত্যু নিয়ে সংখ্যা দেখাচ্ছে আমি তাতেই বিশ্বাসী। মমতার দেওয়া পরিসংখ্যান আমি বিশ্বাস করিনা। যাই ঘটনা ঘটে থাকুক, পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি? এটাই রাজ্যপালকে বলতে এসেছি।'
প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্নের সভাগৃহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'আমি কী দোষ করেছি? আমার অপরাধটা কী? দোষ করলে শাস্তি দিন। কিন্তু এত কুৎসা! এত মিথ্যে! অপরাধ করলে মা-মাটি মানুষকে শাস্তি দিন, মেনে নেব। কিন্তু মিথ্যে সহ্য করব না। যখন বিরোধী ছিলাম তখনও মেরে মেরে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এখন ক্ষমতায়, এখনও সেই অপমান।' এই প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনা করে মমতা বলেছেন,'যবে থেকে বিজেপি এই বিদ্বেষ মূলক আচঢ়ণ শুরু করেছে, কথায় কথায় আক্রমণ। ভায়লেন্স ভায়লেন্স করে গোটা দেশে আমাদের বদনাম করে চলেছে, বাংলার বদনাম করে চলেছে। আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আনা হয়েছে। কথায় কথায় এজেন্সি। এভাবে দেশ চলে না। তাও বলব, আপনাদের কুৎসা আমাদের আরও শক্তিশালি করে। শুধু কয়েকটা প্রাণ চলে গেল, সেটা খুবই দুঃখজনক।'