সংক্ষিপ্ত

মিছিল চলাকালীন কংগ্রেসকর্মী ফটিকুল হকের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। এর থেকেই শুরু হয় বচসা।

ভোট মিটলেও থামছে সন্ত্রাস। মালদায় পিটিয়ে খুন করা হল কংগ্রেস কর্মীকে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাঝেই ফের রক্ত ঝড়ল রাজ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার রাতুয়ায়। জানা যাচ্ছে বুধবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী রজিনা বিবি। এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয় মিছিল বের করা হয়। চলে বাজি ফাটিয়ে উল্লাসও। অভিযোগ এই মিছিল চলাকালীন কংগ্রেসকর্মী ফটিকুল হকের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। এর থেকেই শুরু হয় বচসা।

সূত্রের খবর নিহত কংগ্রেসকর্মীর বাড়ির সামনে বাজি ফাটানোয় বাধা দেওয়া হলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা বাধে ফটিকুল হক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এরপরই পিটিয়ে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মীকে। তাঁর পরিবারের লোকজনকেও মারধর করার অভিযোগ উঠছে। উল্লেখ্য এই নিয়ে ভোট হিংসায় মৃত্যু বেড়ে ৪৫। ভোট মিটলেও কিছুতেই থামছে না রক্তক্ষয়ী পর্যায়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম মইদুল শেখ। জঙ্গিপুর এলাকার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা সে। মইদুলের মৃত্যুর সঙ্গে আরও বাড়ল পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃতের সংখ্যা। ভোট ঘোষণার পর থেকে গত ৩০ দিনে মুর্শিদাবাদে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২। নির্বাচনের দিন মৃত্যু হয়েছে চার জনের।

রবিবারও সকাল থেকে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ এবং রানিনগর। চলছে বোমাবাজিও। এদিন তৃণমূল বনাম নির্দল প্রার্থীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শমশেরগঞ্জ। উদ্ধার হয় তাজা বোমাও। অন্যদিকে বেলডাঙায় আক্রমণ করা হয় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের উপর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

রবিবার উত্তপ্ত পরিস্থিতি রানিগরেও। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন চার তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। পুলিশ সূত্রে খবর রবিবার সকাল থেকেই বোমাবাজি শুরু হয় শমসেরগঞ্জের হীরানন্দপুর এলাকায়। দু'পক্ষেরই বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শমশেরগঞ্জ থানারই দুর্গাপুর থেকে বেশ কিছু তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে শনিবার রাতভর রানিগরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। চলে লুটপাট ও বাড়ি ভাঙচুরও।

আরও পড়ুন - 

২০/২০, বিরোধীদের খড়কুটোর মত উড়িয়ে দেয়ে সবকটি জেলা পরিষদের দখল তৃণমূলের

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিরাট সাফল্য তৃণমূলের, জেলা পরিষদে ৮৫র মধ্যে ৮৪টি আসন পেয়ে টক্কর বিরোধীদের

সন্ত্রাসের মুক্তাঞ্চল ভাঙড়ে ২ ISF কর্মী-সহ মৃত ৩, এলাকায় টহল বিশাল পুলিশ বাহিনীর