সংক্ষিপ্ত
সন্ত্রাসের ঘটনায় বারবারই নাম জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূলের। ঘটনায় বারবারই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মমতার দলকে। এবার যাবতীয় সমালোচনা নিয়ে মুখ্য খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
'আমি কী দোষ করেছি? আমার অপরাধটা কোথায়?' পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে কুৎসা সমালোচনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার নবান্নের সভাগৃহে বসে হতাশা ও ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'যখন বিরোধী ছিলাম তখনও মেরে মেরে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এখন ক্ষমতায়, এখনও সেই অপমান।' উল্লেখ্য ভোট পর্বে নজিরবিহীন সন্ত্রাসের ঘটনায় রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব বিভিন্ন মহল। দিনেসুপুরে গুলি, বোমাবাজীর ঘটনায় উত্তপ্ত বাংলার একাধিক জেলা। সন্ত্রাসের ঘটনায় বারবারই নাম জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূলের। ঘটনায় বারবারই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মমতার দলকে। এবার যাবতীয় সমালোচনা নিয়ে মুখ্য খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বুধবার নবান্নের সভাগৃহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'আমি কী দোষ করেছি? আমার অপরাধটা কী? দোষ করলে শাস্তি দিন। কিন্তু এত কুৎসা! এত মিথ্যে! অপরাধ করলে মা-মাটি মানুষকে শাস্তি দিন, মেনে নেব। কিন্তু মিথ্যে সহ্য করব না। যখন বিরোধী ছিলাম তখনও মেরে মেরে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এখন ক্ষমতায়, এখনও সেই অপমান।' এই প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনা করে মমতা বলেছেন,'যবে থেকে বিজেপি এই বিদ্বেষ মূলক আচঢ়ণ শুরু করেছে, কথায় কথায় আক্রমণ। ভায়লেন্স ভায়লেন্স করে গোটা দেশে আমাদের বদনাম করে চলেছে, বাংলার বদনাম করে চলেছে। আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আনা হয়েছে। কথায় কথায় এজেন্সি। এভাবে দেশ চলে না। তাও বলব, আপনাদের কুৎসা আমাদের আরও শক্তিশালি করে। শুধু কয়েকটা প্রাণ চলে গেল, সেটা খুবই দুঃখজনক।'
প্রসঙ্গত, বুধবার মালদায় পিটিয়ে খুন করা হল কংগ্রেস কর্মীকে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাঝেই ফের রক্ত ঝড়ল রাজ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার রাতুয়ায়। জানা যাচ্ছে বুধবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী রজিনা বিবি। এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয় মিছিল বের করা হয়। চলে বাজি ফাটিয়ে উল্লাসও। অভিযোগ এই মিছিল চলাকালীন কংগ্রেসকর্মী ফটিকুল হকের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। এর থেকেই শুরু হয় বচসা।
সূত্রের খবর নিহত কংগ্রেসকর্মীর বাড়ির সামনে বাজি ফাটানোয় বাধা দেওয়া হলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা বাধে ফটিকুল হক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এরপরই পিটিয়ে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মীকে। তাঁর পরিবারের লোকজনকেও মারধর করার অভিযোগ উঠছে। উল্লেখ্য এই নিয়ে ভোট হিংসায় মৃত্যু বেড়ে ৪৫। ভোট মিটলেও কিছুতেই থামছে না রক্তক্ষয়ী পর্যায়।
আরও পড়ুন -
কীভাবে বাইরে বেরোল ব্যালট পেপার? জবাবদিহি চেয়ে রিটার্নিং অফিসারকে তলব কলকাতা হাইকোর্টের
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেললেন রাজীব সিনহা, বললেন গণনা 'মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ'