সংক্ষিপ্ত
কার্যত শ্বশুরবাড়ি বনাম বাপেরবাড়ি লড়াই। বিয়ের পরে পণের দাবিতে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে দেন স্বামী। আর তারই প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা সেই বধূ। এরপর শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সেই বধূর বিরুদ্ধে।
কার্যত শ্বশুরবাড়ি বনাম বাপেরবাড়ি লড়াই। বিয়ের পরে পণের দাবিতে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে দেন স্বামী। আর তারই প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা সেই বধূ। এরপর শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সেই বধূর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও বিষয়টি মিটমাট না হওয়ার জন্য এই হামলা তিনি চালান বলে অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে, পুলিশকেও ছুটে আসতে হয়। কিন্তু সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হন এক পুলিশকর্মীও।
এই ঘটনায় ঐ বধূ সহ দুই পক্ষের মোট পনেরো জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার, রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। আর তাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার কদমতলা এলাকা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, মাটিগারার অন্তর্গত সলকাভিটার বাসিন্দা হলেন ঐ তরুণী। তাঁর সঙ্গে গত ৪ এপ্রিল বিয়ে হয় তুলাকাটা জোতের বাসিন্দা এক তরুণের। প্রায় একমাস সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল।
কিন্তু তারপরই ঐ বধূর উপর পণের দাবিতে অত্যাচার বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপর স্বামী তাঁর সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে রবিবার থেকে স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তিনি।
এমনকি, পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন ঐ বধূ। তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রশাসন এবং পুলিশ উল্টে গৃহবধূকেই গ্রেফতার করার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ আসছে।
এমনকি, বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা ঘটনার প্রতিবাদে চিড়িয়ামোড় এলাকাতে রাত ৯টা নাগাদ এশিয়ান হাইওয়ে-২ অবরোধও করেন। পুলিশ গিয়ে তাদের তুলে দেয়। কিন্তু তারপরই অবরোধকারীরা ঐ গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে হামলা চালান। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে।
পাল্টা পুলিশের গাড়িতেও হামলার অভিযোগ ওঠে। অনেক মদ্যপ দুষ্কৃতীও এই ঘটনায় যুক্ত আছে বলেও অনুমান করছে পুলিশ। আর এরপরই পুলিশ ঐ গৃহবধূ সহ দুপক্ষের পনেরো জনকে গ্রেফতার করে। এমনকি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।