সংক্ষিপ্ত
থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে মহিলাকে চাপ দেয় তারা। অভিযোগ প্রত্যাহার না হলে আরজি করের ঘটনাও ঘটবে বলে জানান। কোনও মতে নববধূ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তবে তার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।
আরজি কর-এর মতো ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয় গৃহবধু-কে। পারিবারিক সমস্যার জেরে গৃহবধু-কে ধর্ষণ করা হয়। এরপরেই নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করে থানায়। ঘটানটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলে। তবে দোষীদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ এখনও তদন্ত চালাচ্ছে। ভুক্তভোগী ওই মহিলা গণমাধ্যমে জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে জায়ের সঙ্গে তার পারিবারিক বিরোধ হয়। সামান্য বিষয় নিয়ে শুরু হওয়া বিবাদ চরমে পৌঁছায়।
পরদিন সকাল আটটার দিকে ওই মহিলা বাড়িতে একা ছিলেন। এই সময় জায়ের বাবা ও ভাই বাড়ি এসে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা শুরু করেন। এরপরেই ওই মহিলাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর নির্যাতিতা চাঁচল থানায় জা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাতে ফের ওই মহিলার বাড়িতে হামলা চালায় তিন দুষ্কৃতী। তার মুখে মাস্ক ছিল। থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে মহিলাকে চাপ দেয় তারা। অভিযোগ প্রত্যাহার না হলে আরজি করের ঘটনাও ঘটবে বলে জানান। কোনও মতে নববধূ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তবে তার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।
ঘটনার পর রবিবার সকালে ফের অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের ওই গ্রামে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব গণমাধ্যমকে বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"