সংক্ষিপ্ত
বাংলায় 'অন্নপূর্ণা প্রকল্প' চালু করা হবে। আর রাজ্যের রোজগারহীন মহিলাদের হাতে নগদ দু'হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে।
সামনেই লোকসভা ভোট। সবকটি রাজনৈতিক দলই প্রস্তুতি তুঙ্গে রেখে কাজ চালাচ্ছে। ভোটের আগে চলছে সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পালা। এরই মধ্যে এবার লোকসভা নয় ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন বঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বাংলায় লক্ষ্মীর ভান্ডার বেশ জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে গৃহিণীদের স্বাবলম্বী করতে মাসিক ১০০০ এবং ৫০০ টাকা অনুদান চালু করে সরকার। নিয়মানুযায়ী পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলার ওই অনুদান পাওয়ার কথা। বরাদ্দের অঙ্ক তফসিলি জাতি-জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর জনজাতিভুক্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে পরিবার-পিছু ১০০০ এবং ‘জেনারেল কাস্ট’ বা সাধারণ শ্রেণিভূক্ত পরিবারের মহিলার প্রাপ্য ৫০০ টাকা। অনুদানের শর্ত, প্রাপক মহিলার অন্য কোনও উপার্জনের সংস্থান থাকা চলবে না। সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারকেই এবার ভোটের হাতিয়ার করতে চাইল বঙ্গ বিজেপি।
সোমবার মুর্শিদাবাদ থেকে সুকান্ত বলেন, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় 'অন্নপূর্ণা প্রকল্প' চালু করা হবে। আর রাজ্যের রোজগারহীন মহিলাদের হাতে নগদ দু'হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে। এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন রাজ্যের দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে জোর আক্রমণ শানান সুকান্ত মজুমদার। ফের নেতার মুখে উঠে আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। সাফ মাথায় সুকান্ত বলেন, সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় রাজ্য কোনও পদক্ষেপ না করলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এতে হস্তক্ষেপ করবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। বলেন, "পুরো শিক্ষা দফতরটাই কারাগারে। একেক জনকে কারাগারে যেতে দেখে সবাই রীতিমতো কাঁপছে।" শুধু তাই নয়, এরপর বিস্ফোরক মন্তব্য করে সুকান্ত বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস এত বড় দুর্নীতিতে লিপ্ত যে তাতে মহাভারত লেখা যেতে পারে।"
একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে সরাসরি তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, 'গ্রামের মানুষেরা চরম দারিদ্রতায় দিন কাটাচ্ছে। ঠান্ডার কাপড় কেনার জন্য মানুষের কাছে টাকা নেই। গোটা রাজ্য দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।