সংক্ষিপ্ত
নিজের কাকিমা পূজা রায়কে ভালবাসত মানস রায়। ঘটনার পর মৃত কাকা বিশ্বজিত্ রায়ের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত পূজা রায় ও মানস রায়কে। এই পূজা ও মানসের মধ্যেই অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
নিজের কাকিমাকে ভালবাসতেন তিনি। আর সেই ভালবাসার জেরে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে ফেললেন যুবক। হুগলির আরামবাগের এই ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। কাকিমার সঙ্গে এই অবৈধ সম্পর্কের জেরে নিজের কাকাকেই খুন করল যুবক। ঘটনার নৃশংসতায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরামবাগে। নিজের কাকিমা পূজা রায়কে ভালবাসত মানস রায়। ঘটনার পর মৃত কাকা বিশ্বজিত্ রায়ের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত পূজা রায় ও মানস রায়কে। এই পূজা ও মানসের মধ্যেই অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই ঘটনার পরিণতিতেই মৃত্যু হল কাকা বিশ্বজিত্ রায়ের।
অভিযোগ উঠেছে, পূজা ও মানসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সে কথা প্রথমে আন্দাজ করতে পারলেও পরে বিষয়টা পুরোটাই জানতে পারেন বিশ্বজিত্। এর ফলে পূজা ও বিশ্বজিতের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চরম আকার ধারণ করলে বিশ্বজিত্কে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে মানস ও পূজা। তার পরেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা হয়।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে শনিবার গোঘাটের আগাই গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের বিশ্বজিতকে বাড়ির পাশেই একটি জায়গায় ডেকে পাঠায় মানস। তারপর বারবার লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। তার পর মৃতদেহ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি খালের পাশে ফেলে রেখে আসে। সেখানে থেকেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। দেখা গিয়েছে, বারবার লোহার রড দিয়ে আঘাত করার পরেও মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরে লোহার রড় গেঁথে দেওয়া হয়েছে। তারপরই দেহ খালের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বিশ্বজিত্ ও পূজার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে, তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়। গোঘাট থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। যদিও প্রথমে মৃতের স্ত্রী পূজা ঘটনা লুকানোর চেষ্টা করলেও, পুলিশ ফোনের সূত্র ধরে ভাইপো মানসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে অবৈধ সম্পর্কের ঘটনা। রবিবার ধৃতদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। যদিও ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা তাও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।