সংক্ষিপ্ত
ভোটের ফল প্রকাশের অনেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রিপোর্ট ঘুরতে থাকে যাতে দাবি করা হয় এবারের নির্বাচনে ২৫৫টি আসন পাবে বিজেপি। যা নিয়েই বর্তমানে শুরু হয়েছে নতুন শোরগোল।
এখনও শেষ হয়নি ভোট গণনা। তবে শেষ পাওয়া ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে ২৭৩টির কাছাকাছি আসনে উত্তরপ্রদেশে জয় নিশ্চিত বিজেপি-র(BJP is sure to win in Uttar Pradesh)। এ ছাড়া আপনা দল ১২টি আসনে জয়ী, নিষাদ পার্টির প্রার্থী ছয়টিতে জয়ী হয়েছে। এই দুই দলই এবার বিজেপির সঙ্গে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়েছিল। কিন্তু বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় উত্তরপ্রদেশে ফের বিজেপি ক্ষমতায়(BJP is back in power in Uttar Pradesh) ফিরলেও গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলেছে অন্য একটি রিপোর্ট। যা নিয়েই জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের অনেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রিপোর্ট ঘুরতে থাকে যাতে দাবি করা হয় এবারের নির্বাচনে ২৫৫টি আসন পাবে বিজেপি।এটাকে ভারতীয় জনতা পার্টির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্ট বলা হচ্ছে। যা নিয়েই পড়েছে শোরগোল।
সহজ কথায় এই প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান বিস্ময়কর অর্থাৎ গতকাল থেকে উত্তরপ্রদেশে যে ফলাফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার, দলের অন্তবর্তী রিপোর্টের সংখ্যা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পাওয়া রিপোর্ট কার্যত হুবহু মিলে যাচ্ছে। এখন এটাকে কাকতালীয় বলুন বা অন্য কিছু কিন্তু এটাই বাস্তবতা। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা হিসাবে পরিচিত ভাইরাল রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে এবার প্রায় ২৫৫টি আসনে দলের প্রার্থীরা জয়ী হবেন। এ ছাড়া ১৫৮টি আসন হারাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। বাস্তবের মাটিতেও কার্যত সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে।অন্যদিকে দলের সমীক্ষা রিপোর্টেই জাত-ধর্মের রসায়নের উপর নির্ভর করে ভোট শতাংশেরও হিসাব করা হয়েছিল। কোন সম্প্রদায়ের মানুষ কতটা কাছে আসবে আর কারাই বা বিজেপি-র থেকে দূরত্ব বাড়াতে চলেছিল তাও স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল। বর্তমানে ফলাফল বেরোনোর পর দেখা যাচ্ছে বাস্তব চিত্রেও খানিকটা সেই ছবিই ধরা পড়ছে।
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির
উত্তরপ্রদেসে ঠাকুর, কায়স্থ, বানিয়া, মৌর্য, লোধি, সায়নী, পাসি, কোরি, শাক্য, ত্যাগী, বাঘেল, বাল্মীকি, খারওয়ার, ধোবি, শিখ, পাল, গোস্বামী, শাহারিয়া, জমাদার, হালওয়াই, কামার, সিন্ধি, গন্ড, ডোম সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে আগেই নানা কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। কাজে এসেছে সেই পদ্ধতি। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এই সম্প্রদায়ের মানুষেরাই সবথেকে বেশি ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। অন্যদিকে যাদব ও মুসলিম ভোটারদের ভোট একদমই আশা করেনি পদ্ম শিবির। ভোটের ফলেও তারই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।