সংক্ষিপ্ত
স্ত্রী বিজলী খাতুনের অভিযোগ, প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু, তারপর থেকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করেন। অত্যাচার সহ্য করেও তিনি দুই সন্তানের মুখ দেখে সংসার করে যাচ্ছিলেন।
স্বামী পরকীয়ায় (Extra Marital Affair) মত্ত, ব্যস্ত মোবাইলে! প্রতিবাদ করতে গিয়েই ঘরছাড়া স্ত্রী। শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েও দমে না গিয়ে সুবিচারের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির (In-Laws House) উঠানে ধর্নায় বসে রয়েছেন দুই সন্তানের মা বিজলী খাতুন (২৬)। রবিবার সন্ধ্যা থেকে ধর্নায় বসে আছেন তিনি। অনাহারে বসে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে ঢুকতে না দিলে শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যা (Suicide) করবেন বলে জানান বিজলী খাতুন। স্বামী সাহাবাজ আলি ও শাশুড়ি আসিরা বিবি বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে পালাতক। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda Harishchandrapur) হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের হুসেনপুর গ্রামে। এই নিয়ে হুসেনপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্ত্রী বিজলী খাতুনের অভিযোগ, প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে (Marriage) হয়। বিয়ের কিছুদিন তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু, তারপর থেকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করেন। অত্যাচার সহ্য করেও তিনি দুই সন্তানের মুখ দেখে সংসার করে যাচ্ছিলেন। এরপর স্বামী রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডীপুর গ্রামের এক বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। সবসময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন। প্রতিবাদ করতে গেলেই বেধড়ক মারধর করেন তাঁকে। এই নিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসে। কিন্তু, লাভ হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ে করার আশায় দুই মাস আগেও তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বামী। তারপর থেকে আর তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। রবিবার সকালে গ্রামে সালিশি সভা বসার কথা থাকলেও স্বামী ও শাশুড়ি সালিশি সভায় উপস্থিত না হয়ে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় বলে খবর। এমনকী, বিজলীর নামে থানায় মিথ্যে নিখোঁজ ডায়েরি করে রেখেছেন সাহাবাজ। তারই প্রতিবাদে সুবিচারের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসে রয়েছেন তিনি।
ঘরে তালা ঝোলানো
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজলী খাতুনের মা জানান, বিয়ের সময় সব যৌতুক মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও যৌতুকের জন্য তাঁর মেয়েকে মারধর করছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাঁরা গরীব মানুষ, কোথায় পাবেন এত টাকা? আবার চন্ডীপুর গ্রামে এক বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জামাই। সেই থেকে তাঁর মেয়েকে দেখতে পারেন না। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। রবিবার সকালে গ্রামে সালিশি সভা বসার কথা ছিল। কিন্তু সালিশি সভায় উপস্থিত না হয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে তারা পালিয়ে যায় ।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচন ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ, আসানসোলে মনোনয়নপত্র জমার দিলেন শত্রুঘ্ন
কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অলক পোদ্দার বলেন, "ছেলেটি চরিত্রহীন,চন্ডীপুর গ্রামে এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। আবার মোটা অঙ্কের যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে প্রায়শই মারধর করে। এই নিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশি সভা বসেছে। স্ত্রীকে নিতে অস্বীকার করছে সাহাবাজ। মেয়েটি রবিবার সন্ধ্যা থেকে ধর্নায় বসে রয়েছেন। এই নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে।" এদিকে এই বিষয়ে সাহাবাজের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি তিনি। বার বার ব্যস্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দিচ্ছেন বলে জানান গিয়েছে।