সংক্ষিপ্ত

আগামী কয়েকদিন কার্যত দম ফেলার ফুরসত নেই মানুষজনের। প্রমীলাদের বল পায়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর সাক্ষী হতে এখন সকলে ব্যস্ত। 

ফতোয়া! মহিলা (Women) বলেই হাজারো বাধা? মাতব্বরদের হাজারো নির্দেশ(Instructions)। তবে তাঁরাও দমে যাওয়ার পাত্রী নয়। শেষ পর্যন্ত ফতোয়া টপকে গ্রামের মহিলারা মাঠমুখী। আর এই কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন প্রশাসন থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী সমাজের মানুষজন। মহিলাদের মাঠে গিয়ে খেলাধুলাকে(Women Sports) কেন্দ্র করে রীতিমতো নাক-উঁচু ছিল এলাকার মাতব্বরদের। আর তারাই রীতিমতো ফতোয়া জারি করে মহিলাদের খেলাধুলার উপর হাজার বিধিনিষেধ আরোপ করেন। তবে সমাজেরই আরেক অংশের মানুষ এই ঘটনায় কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামের প্রমীলা বাহিনীর পাশে এসে দাঁড়ান তাদের সহযোগিতা করতে।

আর তাতেই কেল্লাফতে। গ্রামের মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করতে নক আউট মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতার (Women football tournament) আয়োজন করেছে মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) প্রত্যন্ত নদাইপুর এলাকার যুব সংঘ। একাধিক জেলা থেকে মোট চারটি মহিলা ফুটবল দল এই খেলায় অংশ গ্রহন করছে। চলবে বেশ কয়েকদিন ধরে। গোটা জেলার মানুষ এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে। আগামী কয়েকদিন কার্যত দম ফেলার ফুরসত নেই মানুষজনের। প্রমীলাদের বল পায়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর সাক্ষী হতে এখন সকলে ব্যস্ত। 

মহিলা ফুটবলকে ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে এলাকা জুড়ে। নদাইপুর গ্রাম থেকে শহর এলাকায় বা বাজার যেতে হলে এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা টোটো গাড়ি। তাও কিছুটা ভাঙা চোরা লাল মোড়াম কিছুটা পিচ রাস্তার ১০ কিমি পেরিয়ে তবেই পৌঁছান যায় শহরে। পরিযায়ী শ্রমিক অধ্যুষিত গ্রামে ১৯৭৭ সালে গড়ে ওঠে নদাইপুর যুব সংঘ। এলাকার মহিলাদের ঘরের বাইরে নিয়ে আসতেই ওই মহিলা ফুটবলের আয়োজন বলে দাবি করেন ক্লাবের সম্পাদক মহম্মদ গোলাম রসুল।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ, বাংলায় বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, রইল তালিকা

অতিমারীর কারনে ২০১৭ সালের পর আর কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায় নি এই তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় অতীত কাল থেকেই খেলাধুলার চর্চা আছে। ফলে মহিলাদের বাড়ির বাইরে করতে গেলে খেলাকেই হাতিয়ার করতে হবে। এই মনোভাব নিয়েই মহিলা ফুটবলের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে সাড়াও মিলেছে ভালো"। 

ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী

ওই ক্লাবের অধিনায়ক তথা একমাত্র গোলদাতা সিমা খাতুন বলেন , “এলাকার দর্শক অত্যন্ত রুচিশীল। আমরা নিরাপত্তার সঙ্গে আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । দর্শক হিসেবে মহিলাদের পেয়ে আমরা ভীষণ খুশি।”