সংক্ষিপ্ত
- বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন
- প্রয়াত সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য
- নিজের বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি
- শোকের ছায়া সাহিত্যিক জগতে
সাংবাদিকতা ছেড়ে চলে এসেছিলেন সাহিত্য জগতে। লিখেছেন 'মেমসাহেব'-এর মতো জনপ্রিয় উপন্যাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে টালিগঞ্জে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হলেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
আরও পড়ুন: 'লকডাউনে সোনা পরা অপরাধ', পুলিশ আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে গয়না নিয়ে চম্পট দিল চোর
১৯৩৯ সালে জন্ম হয় তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার( এখন বাংলাদেশ) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সরশুনা গ্রামে। তবে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। দেশভাগের পর চলে আসেন কলকাতায়। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নিমাইবাবু। দীর্ঘ ২৫ বছর দিল্লিতেও সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় নিমাই ভট্টাচার্যের প্রথম কাব্য়গ্রন্থ 'রাজধানীর নেপথ্যে'। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হল 'মেমসাহেব'। সাতের দশকে গোড়ার দিকে এই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সিনেমাও সুপারহিট হয়। পরে লেখালেখিকে পুরোদস্তর পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। কালক্রমে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সাহিত্যের 'জনপ্রিয় লেখক'।
আরও পড়ুন: ফি নিয়ে বড়সড় বিক্ষোভে ইস্ট -পয়েন্টের স্কুলের অভিভাবকেরা, উত্তেজনা সামাল দিতে ছুটল পুলিশ
উপন্যাস, ছোট গল্পের বাইরে নিমাইবাবু লিখেছেন ‘বিপ্লবী বিবেকানন্দ’র মতো বইও। বাংলায় ‘জনপ্রিয় লেখক’ বলতে যা বোঝায়, নিমাই ভট্টাচার্য ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই তা-ই। তাঁর লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ১৫০-এরও বেশি। নিমাই ভট্টাচার্যের তিন ছেলে ও চার মেয়ে। স্ত্রী ও দুই কন্যা আগেই প্রয়াত হয়েছে। জনপ্রিয় এই সাহিত্যিকের প্রয়াণের শোকের ছায়া সাহিত্য জগতে।